হাবিপ্রবি’র ৭৯ শিক্ষার্থীকে সনদ বাতিলসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সিদ্ধান্ত

জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগ
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭৯ জন শিক্ষার্থীকে সনদ বাতিল, সনদ স্থগিত, আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান, অভিযুক্তদের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পেলে অফিস আদেশ অনুযায়ী শাস্তির বিধান অব্যাহত থাকবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর হাবিপ্রবি’র রেজিষ্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্ট দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জুলাই হতে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের সাথে হাবিপ্রবি শাখার ছাত্রলীগের সহিংসতা ঘটে যাওয়া ঘটনাসমুহ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কর্তৃক তদন্তপুর্বক অপরাধের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের অপরাধ সনাক্ত করে অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে দুই ক্যাটাগরিতে ২ টি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীতে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন ও শৃংখলা বোর্ড-এর ২২ তম সভায় উপস্থাপন করা হয়। আবাসন ও শৃংখলা বোর্ডের ২২ তম সভায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে শাস্তি প্রদানের গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশমালা অনুমোদনের জন্য গত ২৯ মে’২০২৫ অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ৫৯ তম সভায় উপস্থাপিত হলে বোর্ড অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করে প্রস্তাবিত শাস্তিসমুহ সাময়িকভাবে প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
প্রথম ক্যাটাগরিতে- হুকুমদাতা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র হামলা. মারধর, অস্ত্র হাতে, অস্ত্র সরবরাহ, কক্ষে অস্ত্র পাওয়া ও সশস্ত্র মিছিলে অংশগ্রহনের অভিযোগে ৪১ জনের বিরুদ্ধে সনদ বাতিল/সনদ স্থগিত/আজীবন বহিস্কার/রাষ্ট্র আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরোধীতা করা ও মিছিলে অংশগ্রহনের অভিযোগে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে ২ অথবা ৩ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রফেসর আবু হাসান জানান, ‘বিভিন্ন তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে ৭৯ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের কাছে লিখিত নোটিশ যাবে। সেই প্রেক্ষিতে তারা জবাব দেবেন। তা সন্তোষজনক না হলে অফিস আদেশ অনুযায়ী শাস্তির বিধান অব্যাহত থাকবে। তবে আপাতত তালিকাভূক্ত শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সনদ স্থগিত করা হয়েছে।