এক হাজার ২২৭ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীসার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলায়। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চলের নিচু এলাকা। এতে তলিয়ে গেছে এক হাজার ২২৭ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। কৃষকরা জানিয়েছেন, পানি আরও বৃদ্ধি পেলে পানিতে তলিয়ে থাকা ধানসহ অন্য ফসলের ক্ষতি হবে। আর দ্রুত পানি নেমে না গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা।
দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৫১ তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১৯ সে.মি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন র্বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
নদ-নদী তীরবর্তি কয়েকটি এলাকায় আমন ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। পানি আরো বাড়লে ফসল নষ্টের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। নাগেশ্বরী উপজেলার ফান্দেরচরের কৃষক জলিল মিয়া, সামাদ হোসেন ও আবুল মিয়া জানান, আমন চারার বেশিরভাগ অংশ ডুবে আছে। কয়েকদিন পানি জমে থাকলে এই ফসল ঘরে তোলা মুসকিল হবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৪১ হেক্টর জমির আমন ফসলসহ ১ হাজার ২২৭ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। প্রতিদিন নিমজ্জিত জমির পরিমাণ বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আগামী দুইদিন তিস্তা,ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সম তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।