জমির মালিককে পেটাল আ’লীগ নেতারা

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আওয়ামীলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে জমির মালিক রনজু মিয়াকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রনজু মিয়া আ’লীগের দুই নেতাসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ বলে অভিযোগ করছেন বাদী রনজু মিয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামে।
অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্জু দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এছাড়া একই ইউনিয়নের বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন ইউনিয়ন শাখার শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক। অপর দিকে হাবিবুর রহমান হাদি একই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি। তিনি সম্প্রতি ৩টি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, বাদী রনজু মিয়ার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সাড়ে ৭ শতাংশ সম্পতিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম নানজু ও হাবিবুর রহমান হাদি এবং চান্দুল্লাহর নেতৃত্বে ওই সম্পতিতে জোরপূর্বক মাপামাপি করে দখল করার চেষ্টা করে। এসময় বাদি প্রতিবাদ করতে গেলে আওয়ামীলীগের ভারাটে নেতাদের এনে লোহার সাবলসহ অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাদি রনজু মিয়ার উপরে হামলা করে। এসময় বাদি রনজু মিয়া গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বাদি রনজু মিয়া কালবেলাকে বলেন, আমার সম্পত্তি জোরপূর্বকভাবে মেপে দখল করার চেষ্টা করে। পরে বাধা দিতে গেলে আমার উপর ওপর অন্যায়ভাবে হামলা করেছে। পরে নিরুপায় হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা কিন্তু এ ব্যাপারে ওসি থানায় আমার মামলা নিচ্ছেন না।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম নানজু অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, আমি কারও সম্পতি দখল করতে যায়নি এবং কাউকে পিটায়নি। কেউ বললে তা মিথ্যা। তবে ওই বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে মিমাংসার কথা বলেছি।
রৌমারী থানার এএসআই রাজা মিয়া কালবেলাকে বলেন, বিবাদীরা বাদির জমিতে জোরপূর্বক খুঁটি পুতেছিল। ঠিক ওই সময়ে মারামারি হয়েছিল তা তদন্ত করে জানাগেছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মালিক কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।