৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ - ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ - 19 November, 2025

পলাশবাড়ী এম.এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

2 hours ago
13


বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা):

পলাশবাড়ী এম.এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ,যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা,অর্থ তছরুপ ও প্রশাসনিক অনিয়মের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফা অভিযোগ দাখিল।

অভিযোগে প্রকাশ,এম.এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম বিগত ১৯৯৩ ইং সালে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স পাস করেন এবং ২০০০ ইং সালে ওই কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিএম (BM) কলেজের অধ্যক্ষ পদটি সাধারণত একটি প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা পদ হওয়ায় প্রচলিত নীতিমালা ও নির্দেশনায়,সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অথবা বাণিজ্য অনুষদ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী এবং ১০ (দশ) বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীকে উপযুক্ত ধরা হয়। এমন ব্যাখ্যা বাংলাদেশ গেজেট,অতিরিক্ত,জুন ১২,১৯৯৬ এ উল্লেখ আছে। ফলে, অধ্যক্ষ নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার তথ্য গোপন রেখে মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম,অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়েছেন। উল্লেখিত কারণে ওই ধুরন্ধর অধ্যক্ষ অদ্যবধি অধ্যক্ষ পদের জন্য ও অধ্যক্ষ্যের বেতন স্কেলের জন্য আবেদন করেন নাই এবং বেতন ভাতাদি পাননি। এছাড়া ওই সুচতুর অধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেয়ার পরও তিনি প্রভাষকের স্কেলে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন।

অপরদিকে,কলেজের একাধিক শিক্ষক,কর্মচারী নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওই অধ্যক্ষ মোটা অংকের নগদ নারায়ণ লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে অর্জিত অর্থেরও সঠিক ব্যবহাট করা হয়নি বলেও আশংকা করা হচ্ছে। তাছাড়া ওই অধ্যক্ষ দায়িত্ব বন্টন ও অভ্যন্তরীন সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত পক্ষপাতিত্ব করেন এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বজনপ্রীতি ও ব্যক্তিবিশেষকে অগ্রাধিকার দেন।যা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিবোধ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

উল্লেখ্য যে, অধ্যক্ষ মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম ইতোপূর্বে অর্থ তছরুফের কারণে পূর্ণ বরখাস্ত হয়েছিলেন। তবে অধ্যক্ষ্যের আপন ছোট ভাই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি (বর্তমান গাইবান্ধা কারাগারে বন্দী) মো. সামিকুল ইসলাম সরকার লিপন সেসময় আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায়,ক্ষমতার অপব্যবহার করে অত্র কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির একক সিদ্ধান্তে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ পদটি লিপন পুনঃ দখল করে  তার বড় ভাই ছিদ্দিকুল ইসলামকে পাইয়ে দেন।

উত্থাপিত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছু শিক্ষক ও কর্মচারী তাদের প্রাপ্য উচ্চতর স্কেল/টাইমস্কেল অনুমোদন পাচ্ছেন না। ওই অধ্যক্ষ প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি করে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করছে। এসব কারনে শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মানসিকভাবে অধ্যক্ষ্যের বিরাগভাজন হচ্ছেন।

আর এম.এ সামাদ কারিগরি ও বিজ্ঞান কলেজের ধুরন্ধর অধ্যক্ষ মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের এসব নানাবিধ অনিয়মের বিষয়গুলো তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

ওই কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা ও আইনগত স্বচ্ছতা যাচাই, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত,প্রতিষ্ঠানের অার্থিক কার্যক্রম,ভাউচার,রেজিস্ট্রার ও হিসাবপত্র পর্যালোচনা, শিক্ষক/কর্মচারীদের প্রাপ্য উচ্চতর স্কেল/টাইমস্কেল অনুমোদনে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব হয়েছে কি-না তার তদন্ত এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ন্যাশবিচার রক্ষার্থে কর্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করে ওই কলেজের সভাপতি ও পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে রবিবার ১৬ই নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছেন উক্ত কলেজের সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. রুহুল আমিন মন্ডল। এর কদিন আগেও ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ সম্বলিত এবং বাংলা বিষয়ের প্রভাষক অপর একটি অভিযোগ করেন।

এব্যাপারে ওই কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহের ব্যাপারে জানতে চাইলে,তিনি জানান,চাকরি আছে ২ বছর ২মাস,আর অভিযোগে যেসব বিধি উল্লেখ করা হয়েছে সেসব ছাড়াও আরো বিধি বিধান আছে বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth