অদৃশ্য শক্তির উস্কানীতে উত্তরা ইপিজেড ধুঁকছে
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড চালুর পর এলাকায় জীবনে নতুন গতি এসেছিল। কিন্তু সম্প্রতি অদৃশ্য শক্তির উস্কানিতে ইপিজেডে অস্থিরতা বাড়ছে, অনিশ্চয়তায় পড়েছে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিকের জীবিকা। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে একই দিনে চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
১৮ নভেম্বর সনিক বাংলাদেশ লিমিটেডের শতাধিক শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেতন-বৈষম্য, হয়রানি, ছাঁটাই ও পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ করেন। পরে কাজে যোগ না দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
তবে সনিক কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়নি; বরং শ্রম আইন অনুযায়ী এক শ্রমিকের চুক্তি বাতিলকে কেন্দ্র করে কিছু শ্রমিক বেআইনিভাবে কর্মবিরতি ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। একাধিকবার কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও শ্রমিকরা অমান্য করায় আইনগত ভিত্তিতে কারখানা বন্ধ ছাড়া উপায় ছিল না।
শ্রমিক আন্দোলনের কারণে অতীতে এভারগ্রিনসহ ইপিজেডের আরও কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে পুরো ইপিজেডই অচল হয়ে পড়তে পারে। তাই তাদের স্লোগান— “আন্দোলন হটাও, ইপিজেড বাঁচাও।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও নীলফামারী–২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী এইচ. এম. সাইফুল্লাহ রুবেল বলেন, “উত্তরা ইপিজেড নীলফামারীর প্রাণ। যে কোনো মূল্যে এই ইপিজেড চালু রাখতে হবে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে অদৃশ্য শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যা শ্রমিক ও এলাকার অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলছে।