ডিমলায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধি:
ডিমলায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আল আমিন, মুকিল ও মোকছেদুল নামে তিনজন ব্যক্তি। ভুক্তভোগীরা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা। মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার মাধ্যমে একটি নিরীহ পরিবারকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবার গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাতটায় উপজেলার খগারহাট এলাকায় এক জরুরি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দরখাতা গ্রামের নাজমা নামের এক নারী ডিমলা থানায় একটি মারপিটের মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০, তারিখ: ১৪/১২/২৫ ইং। ঐ মামলায় কোনো ধরনের তদন্ত বা ঘটনার সত্যতা যাচাই ছাড়াই সম্পূর্ণ নির্দোষ ভাবে আল আমিন, মুকিল ও মোকছেদুলকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, উক্ত ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ব্যক্তিগত শত্রুতা ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত না করেই মামলাটি নথিভুক্ত করেছে, যা আইনের শাসনের চরম অবমূল্যায়ন বলে মন্তব্য করেন তারা। মামলার কারণে ভুক্তভোগী পরিবারটি চরম সামাজিক অপমান, মানহানি ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তারা বলেন, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে একটি পরিবারকে সামাজিকভাবে ধ্বংস করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনক। সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরও দাবি করেন, প্রশাসনের একটি অংশের দায়িত্বহীনতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে মিথ্যা মামলা বাণিজ্যে লিপ্ত । এভাবে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হলে সাধারণ মানুষের আইনের প্রতি আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে।
ভুক্তভোগী পরিবার জোর দাবি জানিয়ে বলেন, ঘটনার নিরপেক্ষ ও গভীর তদন্ত হলে প্রকৃত অপরাধীরা চিহ্নিত হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে। তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলার হয়রানি বন্ধ করে নির্দোষদের দায়মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার নীলফামারী জেলার পুলিশ সুপারের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানান।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।