৭ পৌষ, ১৪৩২ - ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ - 21 December, 2025

পলাশবাড়ীতে শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

3 hours ago
43


বায়েজিদ,পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা):

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শহীদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার মরদেহ তার নিজ বাড়িতে পৌঁছেছে। প্রিয় মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে গ্রামের বাড়িতে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি শেষে লাশ দাফন করেছে স্বজনরা। ২১ ডিসেম্বর রোববার দুপুরে সেনাবাহিনীর বহনকারী হেলিকপ্টারে সবুজ মিয়ার মরদেহ গাইবান্ধার তুলসীঘাট হেলিপ্যাডে আনা হয়।

পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে মরদেহ পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছী ছোট ভগবানপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। সবুজ মিয়া আমলাগাছী (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়েই তিনি বড় হন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই এই সাহসী সেনাসদস্য জীবন দেন।

মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী। বাড়ির আঙিনায় আহাজারিতে ভেঙে পড়েন তার মা ছকিনা বেগম। বারবার তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এদিকে নিহতের স্ত্রী, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ বর্ষের ছাত্রী নূপুর আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাসের মাথায় স্বামীকে হারালাম। সব স্বপ্ন এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল। এর আগে, গতকাল শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নিহত ৬ সেনার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ও সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন। গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। শাহাদাৎ বরণ করেন ৬ শান্তিরক্ষী। আহত ৯ জনের সবাই শঙ্কামুক্ত। এদের মধ্যে কেনিয়ার হাসপাতালে ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth