কুয়াশা-হিমেল হাওয়ায় নিঃশব্দ হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের জনজীবন
মোঃ বুলবুল ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর):
"উত্তরের জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। ডিসেম্বরের শেষভাগে কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার স্বাভাবিক জনজীবন। শীতের কারণে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড।
মঙ্গলবার(২৩ডিসেম্বর) ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়। সারাদিন হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় সড়ক, হাটবাজার ও খোলা জায়গায় মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তাদের অনেকেই ভারী শীতবস্ত্র পরে চলাচল করছেন।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।
খানসামাসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে শীতের প্রকোপ বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভোরের তীব্র ঠান্ডার কারণে দিনমজুর, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। এতে তাদের দৈনন্দিন আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
খানসামার নেউলা এলাকার বাসিন্দা আমিনুল বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে বাইরে বের হতে কষ্ট হয়। এই শীতে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একই উপজেলার কায়েমপুর গ্রামের হায়দার আলী জানান, ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে মাঠের কাজে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, আগামী কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষদিকে জেলার কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বা শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। পাশাপাশি বুধবার থেকে কুয়াশা কিছুটা কমলেও রাতের ঠান্ডা বাড়তে পারে।