১১ পৌষ, ১৪৩২ - ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ - 25 December, 2025

" ৩ টাকা পিস ফুল কপি তাও নেই ক্রেতা "

2 hours ago
24


ফুলকপি নিয়ে বিপাকে চাষিরা

আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ :

ফুলকপির দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার  বিভিন্ন এলাকায়  ফুলকপির দাম এতটাই কমে গেছে যে, উৎপাদন খরচও উঠছে না। প্রতি পিস ফুলকপি ২-৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা চাষিদের জন্য লোকসানজনক।

রংপুরের পীরগঞ্জে ১৫ টি ইউনিয়নের অধিক হাড়ে সবজি চাষ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক অধিক জমির লাভের আশায় ফুল ও বাঁধা কপির চাষ করে, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে। সবজি চাষের শুরুতেই ২০ থেকে ২৫ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করা হয়েছে এবং জমি থেকে পাতাসহ। শীতকালীন সকল সবজি একসাথে বাজারে আমদানি হওয়ার কারনে অনেকটাই কাঁচামালের গড়াগড়ি দেখা দিয়েছ এলাকার হাটবাজার গুলোতে বলছেন স্থানীয় চাষিরা।

ফুলকপি চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে ফুলকপির দাম ভালো ছিল, কিন্তু এখন বাজারে ফুলকপির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। এছাড়া কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধিও চাষিদের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। কাচামালের দাম কম হলে ক্রেতা মেলা না হাটবাজারে। আবাদ করতে গিয়ে একটি কপির গাছের পিছনে প্রায় ৪/৫ টাকা খরচ হয়েছে। এখন বিক্রি করা হচ্ছে ২/৩ টাকা দরে। সবজি চাষের যাবতীয় সার কীটনাশক বাড়তির দামে কিনে সবজি চাষ করে বাড়তি ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে।

পীরগঞ্জ উপজেলার ১ টি পৌরসভা এবং ১৫ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকজন কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে। এখানে চাষিরা প্রতিবছর ধান,পাটসহ সকল সবজির চাষ অনায়েসে হয়ে থাকে এবং  কৃষি মাঠে প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়। চাষাবাদের দিক থেকে এখানকার চাষিরা ঊর্ধ্বমুখী এবং সবার সেরা। উপজেলার কৃষি মাঠের সকল সবজি চাষ সমান হাড়ে চাষাবাদ করা হলে লোকসানের বোঝা টানতে হতোনা চাষিদের। কোন ফসলের বাজার চাঙা হলে চাষিরা একযোগে সেই ফসলের চাষাবাদ ঝুকে পরে যে কারনে সবজির গড়াগড়ি বলছেন এলাকার সচেতন মহল।

ফুলকপির দাম বাড়বে কবে, বা চাষিরা কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বিষয়টি নিয়ে চাষিদের প্রশ্ন। জামালপুর গ্রামের কপি চাষি এমামুল হক আকন্দ জানান, লাভের হিসাব বাদ এখন চাষাবাদের সার কীটনাশকের খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজারে কীটনাশক দোকান গুলো থেকে বাকি নিয়ে কপির চাষ করা হয়েছে বর্তমানে সেই দোকানের বাকি টাকাও দেয়া যাচ্ছে না।

আবহাওয়া অনুকূলে ছিল চাষিরা একসাথে অনেক জমিতে বা (মাঠে) কপির চাষ করা হয়েছে আবার ফলনও ভালো হয়েছে। সারা দেশেই এখন ফুলকপি এবং শীতকালীন সবজি একসাথে বাজারে আমদানি শুরু হয়েছে সেই কারনে কিছুটা সবজির বাজার কমেছে। তবে দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই সবজির বাজার কিছুটা বাড়তে পারে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন জানিয়েছে।

কৃষকদের জমি থেকে প্রতি পিস ফুলকপি ৩ টাকা পিস জমি থেকে কেনা হলেও লেবার গাড়ি খরচসহ ঢাকায় পৌছা পর্যন্ত

১০ টাকা পরে। অথচ মোকামেই কপির বাজার কম বাজার ভালো হলে সবার পকেটেই কমবেশি টাকা উঠে। এ ব্যবসার শুরুতেই কিছু লাভ হয়েছিল বর্তমানে চালান খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে বলে বলছেন ফুলকপি ব্যবসায়ী কাবিলপুর ইউনিয়নের তৈয়ব আলী।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth