১৭ পৌষ, ১৪৩২ - ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ - 31 December, 2025

গঙ্গাচড়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলে রাখতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

2 hours ago
13


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলে রাখতে পুরাতন ঘর না সরিয়ে আবার সেখানে নতুন ঘর নির্মাণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নতুন ঘর নির্মাণের কারণ জানতে চাইলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। উপায় না পেয়ে ওই ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী রুহুল আমিন উপজেলার ভুটকা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগে বলা হয়, ভুটকা মৌজার জে.এল নং-৩৮, আরএস খতিয়ান নং-৪১৮-এর অন্তর্ভুক্ত দাগ নং-৬৫৩-এর ৩৫ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে পূর্বে মামলা চলমান ছিল। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১০ আগস্ট তিনি জমিটি ভোগদখলের অধিকার পান। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে একই গ্রামের দুলু মিয়া, মমিনুর রহমান, মনজু বেগম ও রোকছানা বেগম জমিতে থাকা তাদের পুরাতন ঘর না সরিয়ে আবার জোরপূর্বক ওই জমিতে নতুন করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন। নির্মাণের কারণ জানতে চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। অভিযোগকারী আরও জানান, তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তিনি প্রাণে রক্ষা পান। তবে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, ওই জমিতে স্থায়ী ঘর নির্মাণ করে তাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হবে এবং হত্যা, গুমসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতি সাধন করা হবে। এমনকি মিথ্যা মামলায় হয়রানিরও হুমকি দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন,

ঘটনার পর থেকে তিনিসহ তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যেকোনো সময় বড় ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে রুহুল আমিন থানায় আবেদন জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। রুহুল আমিনের ভাই আব্দুল আউয়াল জানান, জমি সংক্রান্ত মামলা নং–২৮/২০২০ আদালতে দোতরফা সূত্রে বিনা খরচায় ডিক্রি হয়। রায়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত ঘর অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ রায়ের মাধ্যমে আমি ও আমার পরিবার উক্ত জমির মালিকানা ও দখল ফিরে পান। তিনি আরও জানান, বিবাদীরা জমির রেকর্ড বাতিলের উদ্দেশ্যে নতুন করে মামলা (নং–৫০/২০২০) দায়ের করলে তা আদালত খারিজ করে দেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর বলেন, অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth