কুড়িগ্রামে ১০টাকায় শাড়ি লুঙ্গীর হাট
দশ টেকাত শাড়ি খেন পায়া খুব উপকার হইল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ঈদোত বেটিটেক এখনা ভাল শাড়ি দিবের পাং না। এমরাগুলো শাড়িটে দিয়া ভালোই করিল। দশ টেকাত শাড়ি খেন পায়া খুব উপকার হইল। শাড়ি কোনা বেটিক দিবের পাম।’ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের কলেজমোড়স্থ আউটার স্টেডিয়ামে স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) এর মাধ্যমে পৌরসভাধীন দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে মাত্র ১০ টাকায় শাড়ি ও লুঙ্গি এবং ২টাকায় বøাউজ বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে নাজিরা মিয়াপাড়ার রাবেয়া বেগম নামমাত্র মূল্যে শাড়িখানা পেয়ে উপরোক্ত অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন।
সোমবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলী আর রেজা, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক সফি খান, পৌর কাউন্সিলর রোস্তম আলী তোতা, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য, ফুল প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের প্রমুখ।
রমজানকে উপলক্ষ করে বাজারে যখন জিনিষপত্রের উর্ধ্বগতিতে হিমসিম খাচ্ছে মানুষ। বাড়ীর লোকজনকে কি ঈদ উপহার দিবেন; এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন! তখন স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির এই উদ্যোগ কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুঁটিয়েছে।
ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কাদের জানান, ঈদে নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে আমরা ৩ হাজার মানুষকে শাড়ি, লুঙ্গি ও ব্লাউজ বিতরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। আজ কুড়িগ্রাম পৌরসভার দেড়শজন মানুষকে বিতরণের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হলো। ঈদের আগেই বাকীদেরকে বিতরণ করা হবে। আমরা এলাকায় এলাকায় গিয়ে জরীপ করে নি¤œ আয়ের মানুষের তালিকা করে টোকেনের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এর আগে আমরা রমজানে ১০ হাজার মানুষকে ২টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার প্রদান করেছি। আমাদের এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সিনিয়র সাংবাদিক সফি খান জানান, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক নারী ও পুরুষকে দশ টাকার শাড়ি-লুঙ্গির হাটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। যেটি স্বার্থকতা পেয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপপরিচালক আলী আর রেজা জানান, এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। মাত্র দশ টাকায় শাড়ি-লুঙ্গি পাওয়ার কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবেন নি। আজ তারা খুশি। এভাবে আরো অনেক সংগঠন ও বৃত্তবানরা দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াবে এই প্রত্যাশা করছি।