তিন শতাধিক প্রভাবশালীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
আমাদের ডেস্কঃ
আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (বিএফআইইউ) অর্থপাচার রোধে গত আড়াই মাসে তিন শতাধিক প্রভাবশালীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। পাশাপশি এসব হিসাব থেকে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার হয়েছে কিনা, তা তদন্তে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে, অর্থ ফেরত আনা অনেকটাই সম্ভব বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুধু ব্যাংক হিসাব জব্দ করলেই অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা।
সংস্থাটির তথ্য মতে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর থেকে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ। সংস্থাটি বলছে, এসব হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিরা যাতে আর্থিক লেনদেন করতে না পারে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসব হিসাব থেকে অর্থপাচার হয়েছে কিনা বা কি উপায়ে হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত করছে সংস্থাটি।
এদিকে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ ও অর্থ দেশে ফেরত আনতে গেল মাসে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে এ টাস্কফোর্সে কাজ করছে নয় জন সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) এর তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসব অর্থ ফেরত আনতে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তবর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বিএফআইইউ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনার উদাহরণ নেই বললেই চলে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, যে বা যারা অর্থপাচার করে তারা এত বোকা না যে, ব্যাংকের যে হিসাব জব্দ হতে পারে সেই হিসাবে তারা বেশি টাকা রাখবে। অফিসিয়াল কোনো চ্যানেল থেকে আসলে অর্থপাচার করাও হয় না। অর্থপাচার রোধে পাচারকারীর দেশে ব্যবসা বন্ধ করা, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা বন্ধ করা যেতে পারে।