২৬ কার্তিক, ১৪৩১ - ১১ নভেম্বর, ২০২৪ - 11 November, 2024

গ্রাহকের হাতে থাকা অর্থ  ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে

আমাদের প্রতিদিন
1 week ago
37


আমাদের ডেস্কঃ

ধীরে ধীরে গ্রাহকের হাতে থাকা নগদ অর্থ ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগেও থামছেনা দুর্বল ব্যাংক গুলোর গ্রাহকদের অর্থ উত্তোলন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে সাত ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আমানতের শতভাগ সুরক্ষা দিতে চলছে সংস্কার কাজ।

ব্যাংক খাতে এস আলম গংদের ক্ষত ভোগাচ্ছে পুরো ব্যাংক খাতকে। তারল্য সংকটে পরে গ্রাহকদের আমানতের অর্থ চাহিদা মতো ফেরত দিতে পারছে না অন্তত এক ডজন ব্যাংক। পরিস্থিতি উত্তোরণে ১১টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পর্ষদ পুর্নগঠনসহ নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভাঙ্গায় ঘটে হিতে বিপরীত। এই ব্যাংক গুলোর গ্রাহকদের মধ্যে তৈরি হয় অনাস্থা। টাকা উত্তোলনে ভীর বাড়ে কাউন্টারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলোকে গ্যারান্টি চুক্তির আওতায় তারল্য সাহায়তা দেয়া হয় ৭টি ব্যাংকের। 

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গ্রাহকদের আমন সুরক্ষা দিতেই সমস্যা থাকা বোর্ড পুর্নগঠন করা হয়ছে। এছাড়া গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে এই ব্যাংকগুলোকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার তারল্য সাহয়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে মনে করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গ্রাহকের হাতে থাকা নগদ টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে, যা ইতিবাচক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারি মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, সবগুলো ব্যাংকের উপর আস্থা নষ্ট হয়েছে তা নয়। গুটি কয়েক ব্যাংকের উপর আস্থা নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকের উপর আস্থা বলেই তারা এই টাকাটা দুর্বল ব্যাংক থেকে তুলে সবল ব্যাংকে রাখছেন।

ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ইস্কিমের আওতায় এখন ৯৫ ভাগ গ্রাহকের আমানত সুরক্ষা থাকলেও, শতভাগ সুরক্ষা দিতে এই স্কিমে পরির্বতনের কাজ চলছে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্লেষকদেরও আহ্বান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ওপর আস্থা রাখার।

সাবেক মহাপরিচালক, বিআইবিএম- এর সাবেক মহাপরিচালক . তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেছন, গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনসহ খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth