কুয়াশায় চাঁদরে কুড়িগ্রামের চারদিকে আচ্ছন্ন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
রাতভর বৃষ্টির মত ফোটায় ফোটায় ঝরে পড়ছে কুয়াশা।বিকাল থেকে শুরু করে পরদিন সকাল পর্যন্ত স্থানভেদে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারিপাশ।।সেই সাথে শিরশিরে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় সূর্যদোয়ের আগ পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। বেলা গড়িয়ে অনেক দেরিতে সূর্যের দেখা মিলায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজিবী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার । এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১০০ ভাগ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
ঘন কুয়াশা ও উওরীয় হিমেল হাওয়ার কারণে কাজে যেতে না পেরে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের শামসুল হক বলেন কাজ না করলে পেঁটে ভাত যায় না। কাজ করলে হাঁ-পা জ্বালা পোড়া করে।
নুনখাওয়া ইউনিয়নের চর কাপনার তাইজুল ইসলাম বলেন হামলাগুলে গরিব মানুষ কম্বল কেনার টাকা নাই।এখন পর্যন্ত কোন মেম্বার, চেয়ারম্যান কাইয়ো কম্বল দিলো না মোক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বায়জিদ বলেন অতিরিক্ত শীতের প্রভাবে মোর একটা ছোট বাচ্চা জ্বর,সর্দি,কাশিতে কয়েকদিন থেকে ভুগতেছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা:স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস জানান শীতের প্রভাবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।বিশেষ করে ডাইরিয়া,নিউমনিয়া ও শাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
কেউ বহির্বিভাগে চিকিৎসাপত্র গ্রহণ করছে। আবার কোন কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানান এবছর ঠান্ডায় ৯ টি উপজেলায় অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মাঝে প্রথম পর্যায়ে ২২ হাজার কম্বল বিতরণ চলমান আছে।