রংপুরে বন্ধ চিনিকল চালুকরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে বন্ধ চিনিকল চালুকরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন । গতকাল (২৯ ডিসেম্বর ২০২৪) রবিবার জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের দাবির প্রেক্ষিতে বন্ধ ৬টি চিনিকল খুলে দেওয়ার প্রেক্ষিতে রংপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বন্ধ চিনিকল চালুকরণ টাস্কফোর্স কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দল্লাহ ক্বাফী রতন।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চিনিকল চালুকরণ টাস্কফোর্স কমিটির অন্যতম যগ্ম আহ্বায়ক মানস নন্দী,আলতাফ হোসেন।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির রংপুর জেলা সভাপতি শাহাদাত হোসেন,আখচাষী ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম কমিটি রংপুর জেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু,সিপিবি রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক কাফি সরকার,বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা,গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ,বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমূখ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয় ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারি ১৫টি চিনিকলের ৬টির মাড়াই স্থগিত তথা বন্ধ করে দেয়া হয়। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ শিল্প উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে বন্ধ ৬টি চিনিকল খুলে দেয়ার দাবি জানায়। দাবির প্রতি মান্যতা দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি প্রতিনিধি নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার ১ ডিসেম্বর ২০২০ এর মাড়াই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে তিন দফায় বন্ধ চিনিকল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম দফায় রংপুরের শ্যামপুর ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ও বিজয়। এই বিজয়কে সংহত করতে হবে।ভবিষ্যতে যেকোন সরকার,বিশ্বব্যাংক অথবা সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর শিল্প কারখানা বন্ধের সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া দেশের চিনির চাহিদা পূরণসহ বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্য দেশেই উৎপাদন করার জন্য পর্যাপ্ত নতুন নতুন চিনিকল,পাটকলসহ শিল্প কলখানা নির্মাণের আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে।