কিশোরগঞ্জে শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি
বছরের শুরুতে তীব্র শৈত্য প্রবাহ চলছে। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাও রাস্তায় যান চলাচল করছে বাতি জ্বালিয়ে। যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলাসহ পাশ্বর্বতী এলাকা। শীতের তীব্রতায় শিশু ও বৃদ্ধাদের শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া, নিউমেনিয়াসহ শীত জনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে কৃষি ফসল ক্ষতি হওয়ার আশংকাও দেখা দিয়েছে। রাতে কুয়াশা যেন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে রুপ নেয়। শীতের তীব্রতায় রাস্তার পাশে কম দামী শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) বছরের প্রথম দিন। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। দিন শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষরা শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে। হাড় কাপাঁনো হিমেল হাওয়া ও শৈত্য প্রবাহের কারণে ফসলের খেতে তেমন লোকজন দেখা যাচ্ছে না। এদিকে শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় যান বাহন দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শৈত্য প্রবাহের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলাসহ পাশ্বর্বতী এলাকা। অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শিশু ও বৃদ্ধাদের শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া, নিউমেনিয়াসহ শীত জনিত রোগ ব্যাপক হাড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ৮০ থেকে ৯০ জন বয়স্ক ও শিশুরা শীত জনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবেদককে জানান- শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে রোগির সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়া শৈত্য প্রবাহের কারণে আলু গাছের মরক বাড়াসহ ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে রাতে কুয়াশার শিশিড় বৃষ্টির মত পড়তে থাকে। এতে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
কনকনে ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষরা কম দামী শীতবস্ত্র বিক্রির দোকান গুলোতে ভিড় করছে। আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে- রাস্তার সাইটে কম দামী শীতবস্ত্র বিক্রির দোকান বসেছে। সে দোকানগুলোতে কেনা বেচার চিত্র দেখা গেছে। এসকল দোকান গুলোতে এক রকম শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান- আজ বুধবার দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম জানান- শীতের তীব্রতায় আলু গাছে মরকসহ ধানের বীজতলা নষ্ট হতে পারে। এজন্য কৃষকদের শীতের তীব্রতা থেকে ফসল রক্ষায় স্প্রে ও বীজতলাগুলোর উপরে পলিথিন দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক বি. এম. তানজিমুল হক বলেন- ঠান্ডা জনিত রোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে রোগির সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া ও নিউমেনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান- এ বছর এক হাজার দুই শত টি শীতবস্ত্র ও তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীতার্ত মানুষদের পাশে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আরও কিছু শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো আসা মাত্রই বিতরণ করা হবে।