থানায় বাদীকে মারধর ও গুলির চেষ্টাঃ পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:
থানায় মামলার বাদীকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় চাইলে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান মামলার বাদীকে মারধর ও অস্ত্র কড়ে নিয়ে গুলি করার উত্যত হবার বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তিনি বলেন এ বিষয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ বলবেন। মামলার বাদী পলাশ হাসান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন লিপি খান ভরসা অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে পারবেন না বলে জানান। পুলিশের উপ কমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার পাঁচটা বা পৌনে পাঁচটার দিকে কোতোয়ালী থানায় গিয়েছিল। কে বা কাহারা তাঁকে তথ্য দিয়েছিল যে, তাঁর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা হতে যাচ্ছে, সেখানে তাঁর নাম আছে। এতে তিনি উত্তেজিত হন এবং মামলার বাদির সঙ্গে তাঁর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে কর্তব্যরত সেন্ট্রির (থানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল) রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন উপস্থিত সবাই তাঁকে নিবৃত্ত করে। উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলি কায়সারের থানার ভেতরের এই কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি অভ্যন্তরীন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে’। অভিযোগের বিষয়ে শিবলি কায়সার বলেন, গতকাল তাকে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) থেকে প্রত্যাহার হয়েছেন। এর বাইরে কোন কথা বলতে তিনি রাজি হননি। রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ মজিদ আলী বলেন, ডিসি ক্রাইম শিবলি কায়সারকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। লিপি খান ভরসা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা চেস্টা মামলার আসামী। সেই আসামীকে মামলা থেকে বাদ দেয়া এবং তাকে সুরক্ষা দেয়ার কথা বলে পুলিশের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন ব্যবসায়ী অমিত বণিক। অমিত বণিকের নামে চাঁদাবাজির মামলা হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।