বগুড়ায় জাতীয় সংগীতে বাধাদান ঠাকুরগাঁওয়ে উদীচীর প্রতিবাদ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বগুড়ায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনায় বাধাদান এবং উদীচীর কার্যালয় ভাংচুড়ের প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে উদীচীর প্রতিবাদ সমাবেশ ও সমবেত কন্ঠে জাতয়ি সংগীত পরিবেশন করা হয়।
গত ১৬ মে শুক্রবার সকালে চৌরাস্তায় এ আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদ।
সমাবেশে ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সভাপতি সেতারা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন,সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু,সহসভাপতি অমল টিক্কু, জেলা সিপিবির সম্পাদক চৌধুরী আনোয়ার হোসেন, জেলা তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মাহাবুব আলম রুবেল,সামাজিক সংগঠন ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ গ্রাহক ফোরামের আহবায়ক মাসুদ আহাম্মদ সুবর্ন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় সংগীত নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে একটি বিতর্ক তৈরী করার চেষ্টা চলছে। এটিকে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সংগীত ও ভারতীয় হিন্দুদের সংগীত বলে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হ”েছ । কিš‘ আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখতে পাই কিভাবে আমার সোনার বাংলা গানটি পাকিস্তানিদের রক্তচক্ষু-নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৫৩ সালে প্রথমে ছাত্ররা একুশে ফেব্রুয়ারীতে এ গান গায়। পরে ৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অ¯’ায়ী সরকারের সময় এ গানটি জাতীয় সংগীত হিসাবে স্বীকৃতি পায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গানটি হয়ে উঠে লড়াই-সংগ্রামের অনুপ্রেড়ণা। আমরা যারা এই গানটিকে ধারণ করছি তাদেরকে বিভিন্ন টেগ দেওয়া হ”েছ। আমরা বলতে চাই এই গানটি কারো না গানটি বাংলাদেশের আপামর জনতার।
বগুড়ায় জাতীয় সংগীতে যারা বাধা দিয়েছে এবং উদীচী কার্যালয় ভাংচুড় করেছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি জানান বক্তারা। পরে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।