নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে রাতের আধারে স্কুলের ইট চুরি করে বিক্রি প্রধান শিক্ষিকার ! মাঝরাতে আটক করলেন এলাকাবাসী

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাহাগিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ইট চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহজুবা উম্মে লাবনীর বিরুদ্ধে। এবিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার চেয়ে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী ।
মঙ্গলবার (২৪ জুন )সকালে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব কুমারেশ চন্দ্র গাছি।
স্থানীয় ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন বরাদ্দ পাওয়ায় পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পরে পুরাতন ভবনের ইট, টিন বিভিন্ন সরঞ্জাম বিদ্যালয়ের মাঠে স্তুপ করে রাখা হয়। সেখান থেকে গত শুক্রবার ট্রলি গাড়িতে উঠিয়ে গোপনে রাতের আধারে কয়েক হাজার ইট এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
মাঝরাতে বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা ইটসহ দুটি ট্রলি গাড়ী আটকিয়ে রাখেন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ দেখানে গিয়ে শিক্ষিকার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষে খবর দেয়।এসময়ে তারা গিয়ে গাড়ী থেকে ইট নামিয়ে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান সুরুজ বলেন, গত শুক্রবার মাঝরাতে স্কুলের মাঠে স্তুপকৃত কয়েক হাজার ইট চুরি করে শিক্ষিকা লাবনী বিক্রি করছিলেন। এসময়ে আমরা এলাকাবাসী দুটি ট্রলি গাড়ী আটকিয়ে রাখি। রাতে পুলিশকে জানালে তারা সকালে আসে পরে শিক্ষা অফিসে অফিসার এসে এলাকাবাসী সবার সামনে ট্রলি গাড়ী থেকে ইটগুলো নামিয়ে নেন। আমরা এ দূর্নীতিবাজ শিক্ষিকার বিচার দাবি করছি। তার বিচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
বাহাগিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহজুবা উম্মে লাবনীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে এবিষয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায় নি৷
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কুমারেশ চন্দ্র গাছি বলেন, এবিষয়ে আমি একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলের ইট চুরি হচ্ছিল পরে স্থানীয় আটকে দিয়েছেন। এবিষয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।