লালমনিরহাটে ঈদে মিল্লাদুন্নবীর জসনে জুলুসে পুলিশী বাঁধা !

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঈদে মিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের জসনে জুলুসে (মিছিল) বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মিছিলটি হাফেজ বজলুর রহমানের মাজার থেকে বের হয় মিলনবাজার ঘুরে বড়খাতার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বৃহস্পতিবার ওই জসনে জুলুস (মিছিল) বন্ধের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন বড়খাতা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর রোস্তম আলীসহ ১১ জন। ফলে এ নিয়ে উত্তোজনা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতি বছরের মত এবারও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ঈদে মিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে জসনে জুলুস করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু ওই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর রোস্তম আলীসহ ১১ জন বৃহস্পতিবার ওই জসনে জুলুস ইসলাম পরিপন্থী উল্লেখ করে মিছিল বন্ধের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। শনিবার এ ঘটনাকে ঘিরে হাফেজ বজলুর রহমানের মাজার এলাকায় উত্তোজন ছড়িয়ে পড়ে। মাজার এলাকায় অবস্থান নেয় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এবং বড়াখাতায় এলাকায় অবস্থান নেয় জামায়াত নেতা রোস্তম আলীসহ ওলামা সমিতির লোকজন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ঈদে মিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে জসনে জুলুস বের করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জসনে জুলুসটি বড়খাতার দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে।
হাফেজ বজলুর রহমান মসজিদের খতিব মুফতী খালিদ সাইফুল্লাহ আত্তারী বলেন, আমরা যাতে ঈদে মিল্লাদুন্নবী পালন করতে না পারি সেই জন্য দুই দিন ধরে তারা না ভাবে আমাদের হুমুকি দিয়ে আসছে। আজ তারা বড়খাতায় অবস্থান নেয়। ফলে পুলিশ আমাদের ওদিকে যেতে দেয়নি। তখন আমরা মিছিল শেষ করে দোয়া অনুষ্ঠানে মিলিত হই।
তবে বড়খাতা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর রোস্তম আলীর দাবী ওই ঈদে মিল্লাদুন্নবী অনুষ্ঠান ইসলাম পরিপন্থি। তাই আমরা আলেম সমাজ বন্ধের জন্য আবেদন করেছি।
হাতীবান্ধা থানা ওসি মাহমুদুন-নবী বলেন, বাঁধা নয় ; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আমরা এবার জসনে জুলুসকে বড়খাতার দিকে যেতে দেয়া হয়নি।