পীরগঞ্জে কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

মেয়ের ও সচিবের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ
আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ রংপুর:
রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভার ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে কাজ না করেই উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা উত্তোলন ও সম্পুর্ন আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৌরবাসী দুদক অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছে।
এরপর দীর্ঘ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেননি রংপুর দুদক অফিস।
অভিযুক্তরা হলেন তদানিন্তন পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সচিব আব্দুল রহিম প্রামানিক। এদিকে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা বেগমও বিষয়টিকে রহস্যজনক কারনে কৌশলে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পৌরসভাবাসীদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বিগত ২০২২/২৩ অর্থ বছরের পৌরসভার উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার কোন কাজ না করেই উক্ত ব্যক্তিদ্বয় উত্তোলিত সমুদয় অর্থ পকেটে পুরেছেন। যার হিসাব নং ঝঘউ ৯/১ জনতা ব্যাংক লিমিটেড পীরগঞ্জ শাখা যাহার চেক নম্বর ৩১৫৮৯৫৩, ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২ শত ৩৩ টাকা, চেক নম্বর ৩১৫৮৯৫৪, ৪৯ হাজার ৬ শত ৫৯ টাকা,চেক নম্বর ৩১৫৮৯৫৫, ৭৪ হাজার ৪ শত ৮৮ টাকা ও চেক নম্বর ৩১৫৮৯৫৫,২৯ হাজার ৭’শ ৯৫ টাকা মেসার্স হাফসা ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নামে বিলগুলো উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে পৌরসভায় নিয়োগ বাণিজ্য, ইজারা বাণিজ্য ও অন্যান্য তহবিল আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল রহিম প্রামানিক বলেন,২০২২/২৩ অর্থ বছরের কাগজপত্র বস্তাবন্দী রয়েছে। বিষটি নিয়ে কখনো তদন্ত করা হলে ওই বস্তা খোলা হবে। তিনি আরও বলেন,এটি এডিপির কাজ,ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করেছে আমি বিল দিয়েছি।
উল্লেখ্য,পৌর সচিব পীরগঞ্জ পৌরসভার শুরু থেকেই এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। যে কারনে তার দুর্নীতি অনিয়মের মাত্রাও অনেক বেশি। বিষয়গুলো সরেজমনি তদন্ত করা হলে আরও অনেক অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সুত্র দাবি করেছে।