২০ আশ্বিন, ১৪৩২ - ০৬ অক্টোবর, ২০২৫ - 06 October, 2025

সিকিমে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত॥ তিস্তার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে

3 hours ago
52


ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে॥ রেড এলার্ট জারি॥ ভুটানের ‘তাল বাঁধ’ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দুধকুমর নাদে পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাচ্ছে॥ গজলডোবা ও মহানন্দা বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত কর্তৃপক্ষ

লালমনিরহাট ও ডিমলা প্রতিনিধি:

তিস্তা নদীর পানি রাত ৮ টা থেকে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পার্শ্ববর্তী এলকায় রেড এলার্ট জারি করে পানিউন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে সতর্কতা জারি করে মাইকে প্রচারনা চালানো হচ্ছে। স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির সাথে মহানন্দ, ধরলা নদীসহ  দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পনি উন্নয়ন রোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিওন এর অতিরিক্ত দায়ীত্বে) মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ভারতের সিকিম রাজ্যের অংশে অস্বভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভারতের জলঢাকা নদীসহ তিস্তার উজানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। ভুটানের “তাল ড্যাম” (বাঁধ) পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখান থেকে দ্রুত পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করায় দুধকুমর নদের পানির উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতের মহানন্দা নদীতে পানির উচ্চতা বিপদ সীমার কাছে প্রবাহিত হওয়ায় বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ কারনে মহানন্দা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাসের সূত্র মতে ধরলার পানিও বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে। তিস্তার পানি চরের বিভিন্ন গ্রামে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় চলাচলের রাস্তাঘাটে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় মানুষজন পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। এদিকে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।

তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে তলিয়ে গেছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের পরিবারগুলো পানিবন্দি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা নদী তীরবর্তী নীচু এলাকার কৃষি জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যেতে পারে এবং গবাদি পশুর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিবে।

তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, রাত ৮টার পর থেকে তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। এ জন্য মাইকে সতর্ক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে।

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth