বিরামপুরে রাস্তার ধারে মাংসের দোকান: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ক্রেতা

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বিরামপুর শহরে সড়ক মহাসড়কের ধারে উন্মুক্ত ভাবে মাংসের দোকান দেওয়ায় বাতাসের মাধ্যমে অজস্র ধূলা ময়লা ও রোগ জীবানু এসে মাংসের উপর পড়ছে। ক্রেতারা সেই মাংস কিনে পড়ছেন স্বাস্থ্য ঝুঁিকতে। অপরদিকে অ্যানথ্রাক্স ঠেকাতে গরু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা করে সনদ নিলেও কসাইরা গরু বদল করে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিরামপুর পৌর শহরে গরুর মাংসের ১৮টি দোকান রয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে দোকান না দিয়ে কসাইরা সড়ক ও মহাসড়কের ধারে খোলা স্থানে মাংস সাজিয়ে রাখেন। এতে যান বাহনের ধূলা ময়লা ও রোগ জীবানু এসে পড়ে মাংসের উপর। ক্রেতারা সেই মাংস খেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন ।
অপরদিকে অ্যানথ্রাক্স ঠেকাতে গরু জবাইয়ের আগে প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে পরীক্ষা করে সনদ নেওয়ার নির্দেশনা জারী করেছে প্রশাসন। কিন্তু কসাইরা দিনের বেলা ভালো গরু দেখিয়ে সনদ নিলেও জবাইয়ের সময় কেউ উপস্থিত না থাকায় গরু বদল করে কসাইরা রোগাক্রান্ত গরু জবাই করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কসাইরা জানান, পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ বা প্রাণি সম্পদ বিভাগের কেউ কোনদিন মাংস ঢেকে রাখা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে আমাদের তদারকি ও পরামর্শ দেন নাই এবং সড়কের ধারে দোকান দিতে কেউ নিষেধও করে নাই।
বিরামপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিপুল কুমার চক্রবর্তী স্বীকার করেন, সনদ দেওয়ার পর জবাইয়ের সময় তদারকি করা হয়না। তবে এখন থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে এবং মাংস ঢেকে রাখার ব্যাপারে কসাইদের সচেতন করা হবে।
বিরামপুর ডাঃ ইমার উদ্দিন কমিউনিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার ইমার উদ্দিন কায়েস বলেন, ধূলা ময়লা পড়া মাংস খেলে ডায়রিয়া, লিভার ডিজেজসহ বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধির সংক্রমণ ঘটতে পারে।