আল আমিনের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে উত্তাল সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
নীলফামারীর ডিমলায় জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্র আল আমিনের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবশ ও অবস্থান কর্মসূচী করেছেন । রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর দুইটায় উপপজেলা সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ টানা তিনঘন্টা বিক্ষোভ সমাবশ ও অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। এসময় সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ ডিমলা বিজয় চত্বরে একত্রিত হয়ে দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবশ ও অবস্থান কর্মসূচী করেন। সমাবেশে সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক বিক্ষোভ র্যালী প্রর্দশন শেষে ডিমলা স্মৃতি অম্লান চত্তরে অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। এসময় তারা জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র আল আমিনের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ প্রকাশ্যে আলআমিনের উপর হামলার মতো জঘন্য ঘটনায় পুলিশ এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এতে করে সন্ত্রাসীদের তৎপরতার বিস্তার নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন "জেলা পরিষদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে" এক ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঐ স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আল আমিনকে একই স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র নাসিম হোসেন কর্তৃক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা হামলাকারীকে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে আটক রাখলে রাব্বি ও সেলিম ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি হামলাকারীকে বের করে নিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা দ্রুত আহত আল আমিন ইসলামকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) রেফার করেন। ঐ ঘটনায় আল আমিন ইসলামের ফুসফুস ছিদ্র হয়েছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত রাতে তার অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। ভুক্তভোগী পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও থানা পুলিশ এখনো কোনো আসামির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলায় সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সুশিল সমাজ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।