২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ - ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ - 13 October, 2024

পীরগঞ্জের মাঠে মাঠে দুলছে আগাম জাতের পাকা ধান

আমাদের প্রতিদিন
3 weeks ago
127


আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ রংপুর:  

রংপুরের পীরগঞ্জে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ, আগাম জাতের পাকা ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে।আগাম জাতের কৃষি মাঠে পুরো দমে ধান পেকে গেছে পীরগঞ্জ  উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের কৃষি পল্লীতে । কিছু কিছু ধান ক্ষেতে সোনালী রঙ ধরেছে। আগাম  জাতের ধানের ফলন আর কৃষি মাঠে পাকা ধানের সুগন্ধে  হাসি ফুটেছে চাষিদের  মুখে। পোকামাকড়ের বালাই অনেকটাই কম আর  ধান অসময়ে ফলনের কারণে উপজেলার অনেক কৃষকদের মধ্যে চাষের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,  উপজেলায় ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, বিনা ধান ১৭, বিনা ধান ৭, ব্রি ধান ৮৭ এবং হাইব্রিডসহ ১২ টি জাতের ধান এবছর ৭ হাজার ৫ শ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের ধান ইতিমধ্যে চাষিরা কাটা মারা শুরু করেছে।

কৃষি পল্লী এলাকা ঘুরে ধান চাষিদের সাথে কথা হলে তারা বলছেন,  কম সময়ে ফলন বেশি  এবং কম খরচে আগাম জাতের ধান রোপণ করে ভালো ফলন পাবার সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা। আগাম ধান কেটে সঠিক সময়ে সরিষা এবং সবজি চাষ করবে। তবে অনেকেই ধারণা করছেন এবার আগাম জাতের ধানের ফলন ভালো হবে।

ধান চাষি বড় ভগবানপুর গ্রামের মিলন মিয়া , জাদবপুর গ্রামের মোত্তালিব হোসেন, অনন্তরামপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন বলেন, তারা প্রতিবছর আগাম জাতের ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। বৃষ্টি পানির অপেক্ষায় না থেকে  সেচ পাম্পের পানি সেচ দিয়ে এই ধানের চাষ করে চাষাবাদ করে।তারা ইতিপূর্বেও লাভবান হয়েছে। এতে করে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট হয়না। গোখাদ্য খড় ব্যবসায়ীরা জমি থেকে ধান কাটা মারা করে ঘরে উঠিয়ে দেয়, খরচ অনেক কম হয়। তাছাড়া নতুন ধানের চাল বাজারেও অনেক চাহিদা রয়েছে। এসব ধান কেটে দ্রুত তেলজাতীয় ফসলের আবাদ করতে পারবে তারা।  বর্তমানে কৃষকদের মাঝে এ ধান চাষের ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে।

তবে আগাম ধরনের উপর পাখিদের নজর বেশি। বাবুইসহ কয়েক প্রকারের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে খেতে এসে আহার করে। যে কারণে বাড়তি খরচ করে জমির উপর জাল টানিয়ে দিতে হয়।

সচেতন মহলের লোকজন জানান , এ অঞ্চলের কৃষক অনেকটাই শ্রমজীবী কর্মমুখি তারা শ্রম খাটিয়ে  মাটিতে ফসল ফলিয়ে থাকেন। চাষাবাদে কৃষক সফল এবং উপজেলায় সবধরনের ফসল চাষের উপযোগী বলে তারা বলছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার বোরো পতিত রোপা আমন শস্য বিন্যাসে সরিষা ফসল চাষাবাদে বিগত বছর থেকেই কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এজন্য স্বল্প মেয়াদী ধানের জমিতের আগাম চাষাবাদ, বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে সম্পুরুক সেচের মাধ্যমে সঠিক সময়ে আমন ধানের রোপন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, মাঠদিবস, কৃষক মতবিনিময় সভায় কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ একদিক যেমন আগাম রোপা আমন ধান ফসলের স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি। অন্যদিকে উপজেলায় সরিষা সহ তেল জাতীয় ফসলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth