তারাগঞ্জে আগাম আলুতে দ্বিগুন লাভ চাষিদের
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি;
বাজারে আগাম জাতের আলুর দাম বেশ ভাল। রংুপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের আলু তোলা শুরু হয়েছে। বাজারে আলুর দাম আকাশ ছোয়া হওয়ায় বাজারে নতুন আলুর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষিদের মুখে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে। চাষিদের খেত থেকেই পাইকাররা প্রতি কেজি নতুন আলু জাতভেদে ৫৬-৬৫ টাকায় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আরো বেশি দামে আলু বিক্রি করার জন্য। বাজারে এখনও পুরাতন আলু ৬৫-৭০ টাকা দামে এবং একই সাথে নতুন আলু ৫-১০ টাকা বেশি কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলায় উৎপাদিত আগাম জাতের আলু স্থাণীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন বলে আলু চাষি ও পাইকারেরা জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার কৃষকেরা অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের আলু চাষ করেন। বিশেষত আগাম জাতের আলু চাষের মাধ্যমে আলু চাষিরা দ্রত নগদ অর্থ উপার্জনের সুযোগ পান বলেই আগাম জাতের আলু লাগিয়ে থাকেন। উপজেলা চাষিরা আগাম জাতের আমন ধান কাটার পরপরই জমি প্রস্তুত করে আগাম আলুর আবাদ শুরু করেন। মাত্র ৫৫-৬০ দিনের মধ্যেই আলু উত্তোলন করে বাজারজাত করা সম্ভব হয়। তারপর ওই জমিতে ভুট্টা চাষ করেন কৃষকেরা। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের আলু চাষি গোপাল চন্দ্র সেন জানান, তিনি চলতি মৌসুমে প্রায় সোয়া দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। ২/৩ দিন থেকে আলু তোলা শুরু করেছেন। মাঠ থেকে থেকে তার আলু পাইকাররা কিনছে ৫৮ টাকা কেজি হিসাবে। তিনি আশা করছেন তার এই জমি থেকে ১৮০ মন আলু পাবেন। বাজার দর এমন থাকলে ভালই দাম পাবেন। উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায় বলেন, এবারে আলুর বাজার ভাল। আগাম জাতের আলু চাষে চাষিরা দ্বিগুনের বেশি লাভ করবেন।