ছাত্র-জনতা উপর হামলা রৌমারীতে আ’লীগের ২০ জনের নামে মামলা
সাখাওয়াত হোসেন সাখা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার কর্মসূচীতে অর্তর্কিত হামলার ঘটনায় রৌমারীতে আ’লীগের ২০ জনের নামে মামলা হয়েছে। সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী, সন্তানসহ আ’লীগের অঙ্গসংগঠনের ২০ জন নেতাকর্মীদের নামে নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
মারপিট, জখম, শ্লীলতাহানি, হুমকি ও সরকারি স্থাপনায় ভাংচুর অভিযোগ এনে অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৭০জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার ইসরাফিল হক বাদি হয়ে রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। ইসরাফিল হক রৌমারী গ্রামের বাসিন্দা। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রৌমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল হেলাল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দায়েরকৃত মামলায় শুক্রবার রাতে উপজেলার ভিটারবাড়ীর বাসিন্দা এজাহারনামীয় আসামি যুবলীগ নেতা আনারুল ইসলাম ওরফে মিস্টার ইয়াংকে রৌমারী বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালমান ফারসী তুষার, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের স্ত্রী উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি সুরাইয়া সুলতানা, পুত্র সাফায়াত বিন জাকির।
এছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের চাচাতো ভাই মারুফ আহমেদ সিক্ত, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম, বন্দবের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াদুদ মিয়া, শৌলমারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহŸায়ক হুমায়ুন কবীর রশিদ, যুবলীগ নেতা সাদেকুল ইসলাম সেতু, আনারুল ইসলাম (ইয়াং মিষ্টার), সেলিম আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, মাশুকুর রহমান বিপ্লব, রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, শৌলমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খালেকুজ্জামান চাঁন, আ’লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকন, শহিদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আ’লীগ নেতা আবুল বাশার, ওয়াজেদুল ইসলাম, সুরুজ্জামান ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রোজাইন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট সকাল ১১ টায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের জন্য শিক্ষার্থী-জনতা মিলে রৌমারী সরকারি কলেজ মাঠে সমবেত হয়। এসময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও সমর্থকরা আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী-জনতার উপর অর্তকিত হামলা করেন। হামলাকারিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, চা পাতি, চাইনিজ কুড়াল ও ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রসহ তাদের উপর হামলা করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ মামলার এজাহারনামীয় ১জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।