রাবিতে ২০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ইসলামী ছাত্রশিবির

রাবি সংবাদদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাবি শাখা। সংগঠনটির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের প্রথম ১-৭ মেধাক্রমধারী প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। এছাড়া, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, রাবি শাখার সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল, সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র আল-কুরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এরপর মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট, বই ও খাতা প্রদান করা হয়।
রাবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, "বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এমন একটি সংগঠন, যেখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা হয়। আমাদের সংগঠন আদর্শনির্ভর হলেও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে আমাদের দূরে রাখার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সত্যের আলো কখনোই নিভে যায় না।"
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির যে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এখানে উপস্থিত হয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।"
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বলেন,
"আমরা এমন এক দেশে বসবাস করি, যেখানে স্বাধীনতার পর মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। প্রয়োজনীয় গবেষণা ও কারিগরি শিক্ষা না থাকার ফলে বাংলাদেশ তার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি। যদি আমরা মেধাবীদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে আজকের বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী অবস্থানে থাকত।"
তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ বছর ধরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অবক্ষয়ের মধ্যে রয়েছে। এটি সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি।"
প্রধান অতিথি রাবি উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, "আমি যখন হল প্রভোস্ট ছিলাম, তখন দেখতাম টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা হলে সিট পেত। কিন্তু এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা হলে উঠছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রমাণ। আজকে যারা পুরস্কৃত হচ্ছেন, তারা ভবিষ্যতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকবেন। আশা করি, তারা সবাই সততার সঙ্গে কাজ করবেন।"
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাবির মেধাবী শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এমন সংবর্ধনা ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল অর্জনে তাদের অনুপ্রাণিত করবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও শিক্ষামূলক ও গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রম চালুর আশ্বাস দেন।