আট মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে হতাশায় সিএইচসিপিরা

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারা (সিএইচসিপি) প্রায় ৮ মাস থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন তারা। ধারদেনা করে চলছে তাদের সংসার। তারা রমজানের আগেই বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তরের জটিলতায় বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে তাদের।
জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে সিএইচসিপি হিসেবে ৩৬ জন কর্মরত আছেন। তারা অসহায় গরিবের চিকিৎসা, গর্ভবতী ও প্রসূতি, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, ইপিআই, কিশোর-কিশোরী ও নববিবাহিতদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন।
কিন্তু বিগত ১৩ বছর ধরে বেতন-ভাতা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি না হওয়ায় গত বছরের আগস্টে ঢাকায় আন্দোলন করেন সিএইচসিপিরা।
২০ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যের শিকার সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের আশ্বাস দেয়। এ আশ্বাসের পরও প্রকল্প বা রাজস্ব খাত না কোনোটা থেকেই তাদের বেতন-ভাতা ছাড় করা হয়নি। এতে প্রায় ৮ মাস ধরে তারা কোনো বেতন পাননি বলে জানান সিএইচসিপিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএইচসিপি জানান, ধার-দেনা করে পরিবার ও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হচ্ছে। সমস্যা অধিদফতরের। তাহলে আমাদের বেতন-ভাতা দিতে সরকার কেন সমস্যা করছে এটা আমার বোধগম্য নয়। রমজানের আগেই বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের গাফিলতির কারণে গত আট মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। প্রতিবারই অজানা ভূত এসে ভর করে বেতন ভাতায়। পরিবার পরিজন নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছি আমরা। এই চাকরির ওপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে। এমনকি অফিসে যাতায়াত ও বাবা-মায়ের চিকিৎসা করানোর টাকা পয়সাও নাই। দ্রুত বেতন-ভাতা না দিলে পরিবার পরিজন নিয়ে আামাদের পথে বসতে হবে।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু মো. আলেমুল বাসার বলেন,কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশন প্লানের আওতায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা তাদের বেতন-ভাতা পেতেন। শুনেছি বর্তমান সরকার উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। আশা করা যায় এই জটিলতার সমাধান দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।