লিপি খান ভরসা গ্রেফতার: রাতে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলায় ঢাকায় গ্রেফতারকৃত লিপি খান ভরসাকে রোববার রাত ৯টায় রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট-১ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ¬¬-সুদীপ্ত শাহিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলা তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক সোয়েবুুর রহমান তা মঞ্জুর করে আসামিকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করেন।
উল্লেখ্য উৎকোচের টাকা নিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলোচনার বিষয় অডিও প্রকাশ্যে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর লিপি খান ভরসাকে রোববার গ্রেফতার করে রংপুর মেট্রোপটিন পুলিশ। তাকে ওই দিন দুপুরবেলা ঢাকার গুলশানের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, লিপি খান ভরসাকে গ্রেফতারের জন্য শনিবার দুপুর থেকে ঢাকায় গুলশানে তার বাসাটি ঘিরে রাখা হয়। রাতভর তিনি বাসার দরজা না খোলার কারনে রোববার দুপুরে ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে পুলিশ বাসার দরজা ভেঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাসিমা জামান ববির সাথে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ট ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে সিটি বাজারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে গুলি লেগে অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় গত বছর ১৩ নভেম্বর মহানগর কোতোয়ালি থানায় গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ মামুন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। লিপি খান ভরসা এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
উল্লেখ্য ওই মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে মামলার চার্জশীট দেয়ার জন্য তিনি রংপুর মহানগর পুলিশ(আরপিএমপি) এর সাবেক ডিসি ক্রাইম মোহম্মদ শিবলি কায়সারের সাথে যোগাযোগ করেন। এজন্য তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঘনিষ্ট রংপুরের ব্যবসায়ী নেতা রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক অমিত বণিককে এ বিষয়ে দায়ীত্ব দেন। পুলিশ কর্মকর্তা এ কাজের জন্য ১০লাখ টাকা দাবি করেন। লিপি খান ভরসা ২লাখ টাকা দিতে রাজি হন। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হন। এ সব বিষয়ের কথোপকথন লিপি খান ভরসা মোবাইলে অডিও ধারণ করেন। তা তিনি অবহিত করে গত ১১ মার্চ মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে লিপি খান ভরসা লিখিত অভিযোগ করেন।
এ সব ঘটনার পরে সর্বশেষ লিপি খান ভরসাকে গ্রেফতার করে রোববার রাতে জেল হাজতে পাঠানো হলো।