তারাগঞ্জে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না দিয়ে লাঞ্চিতের ঘটনায় সাড়ে তিনঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ: সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রন

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
তারাগঞ্জ ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমানকে বিদ্যালয়ের প্রবেশ করতে না দিয়ে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন প্রধান শিক্ষকের এলাকার লোকজন ও বিদ্যালয়ের এক অংশের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) ১১ টায় রংপুর-নিাজপুর মহাসড়কের বরাতি ব্রিজ নামাকস্থানে অবরোধ করে রাখেন।
এ সময় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভকারিদের সরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবীতে শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও স্থাণীয় লোকজন একই দিনে দুই দফায় ৫ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল রানা ঘটনাস্থানে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও তার প্রতিপক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রানীসম্পাদ কর্মর্তাকে প্রধান করে একটি ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত টিমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে ১৮০ কার্য দিবসের মধ্যে নিস্পত্তি না হলে ১৮০ কার্যদিবসে স্বয়ংত্রিয়ভাবে ওই পদে পূর্নবহাল হবেন। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে গেলে প্রতিপক্ষ লোকজন প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে না দিতে বিদ্যালয়ের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এসময় সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান তার স্ত্রী ওই বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষিকা আলেয়া বেগম, শিক্ষিকা আখিয়ারা বেগম, প্রধান শিক্ষকের ভাই তোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেনসহ ফাহিম নামের এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত ও মারধর করেন। বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে প্রধান শিক্ষকের ভাই তোফাজ্জল হোসেন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের পরিবার, গ্রামের লোকজন ও শিক্ষার্থীরা রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বরাতি ব্রিজ নামকস্থানে বাঁশ দিয়ে আটকিয়ে সকাল ১১ থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে দুপুর দেয়টায় সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষক আলিয়ার রহমান জানান, প্রতিপক্ষ নজির হোসেন, সোহাগ, আলমগীর আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় গ্রামের লোকজন মহাসড়ক অবোরধ করেছিলেন। তারাগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক অবরোধের ঘটনাটি দুপুর দেয়টায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আনা হয়েছে।