নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে দেবী চৌধুরানী উন্নয়ন সংস্থার  উদ্দ্যোগে বিশ্ব পানি দিবসের আলোচনা সভায় তিস্তা নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের সংগ্রাম ও নদী রক্ষা  আন্দোলনকে মূল্যায়ন করতে সকলকে ঐক্য বদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।গতকাল( ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ) নগরীর  সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া কার্যালয়ে দুপুরে  দেবী চৌধুরানী পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী মোঃ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় দেশের  নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা এবং এর পরিবেশগত প্রভাব এবং   তিস্তা নদীর বর্তমানে  নব্যতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর নাব্যতা ফিরিয়ে নদীর গভীরতা বাড়ানো সহ  গতিপথ সুনিদৃষ্ট করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভাগীয় সহকারী পরিচালক সাইফুল আলম।অলোচক ছিলেন,  তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের  সাধারন সম্পাদক সফিয়ার রহমান, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক,  পাশ এর নির্বাহী পরিচালক কেএমআলী সম্রাট.  শ্যাডোর নির্বাহী পারচালক সরোয়ার জামিল খন্দকার প্রমূখ।

ডিপুকের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ ইকবাল হোসেনের সঞ্চলনায়  আলোচনায় আরো অংশ নেয়  বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ সহ সমাজের  বিভিন্ন উন্নয়ন দলের প্রতিনিধিবৃন্দ ও দেবী চৌধুরানী পল্লী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,জল বায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলছে, যা মানুষ দ্বারা স্মৃষ্ট। মানব স্মৃষ্ট বিভিন্ন কারণে কার্বণ নিস্বরণের পরিমান বাড়ছে, পৃথিবীর তাপপাত্র ক্রমাগত বৃদ্ধি পাছে, যার জন্য হিমবাহ গলে যাছে, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চাতা বৃদ্ধি পাছে। আমাদেও মিঠা পানির আধার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সকলেরই এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে, সমস্ত বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে।

সাংবাদিক সালেকুজ্জামান সালেক তার বক্তব্যে উল্লেখ বলেন,আজকের এই আলোচনার বিষয়টি পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর বঙ্গে পানির সবচায়তে বড় আধার তিস্তা নদী। এই নদীর সংস্কার ও এই এলাকার দাবী হিসাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ”জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাও” স্লোগানে কিছুদিন আগে তিস্তা পাড়ে একটি মহাসমাবেশ করা হয়। সেখানে এই এলাকার দাবী তুলে ধরা হয়। আশাকরি বর্তমান সরকারের অধিনে এর সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব পানি  দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ধরনাপত্র ও প্রাসঙ্গিক তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদন পাঠ করেন প্রকল্প স্বমন্ময়কারী মো: ইকবাল হোসেন।