ভূরুঙ্গামারীতে ডাল ফসল উৎপাদনে কাজ করছে পার্টনার প্রকল্প

আরমান আলী,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ডাল ফসল উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে পার্টনার প্রকল্প। চলতি মৌসুমে পার্টনার প্রকল্প ও প্রণোদনার ডাল ফসলের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে ওঠেছে। এবার শাক সবজীর দাম ব্যাপক বৃদ্ধি ছিল বিধায় কৃষকদের ডাল চাষে আগ্রহ ছিল বেশি। এছাড়াও সারা বছর ডালের চাহিদা মেটাতেও মশুড়ের ডাল চাষ করছেন অনেক কৃষক। দাম ভালো পাওয়া ও বীজ সংরক্ষণ করতে পারায় খুশি কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আইপিএম কৌশলের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে উপজেলার পাইকেরছড়া ও শিলখুড়ি এই দুইটি ইউনিয়নে প্রদর্শনীনে কৃষক-কৃষানীর ১২ বিঘা জমিতে বারী মশুর- ৮ জাতের ডাল উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও পার্টনার প্রকল্প ও উপজেলা কৃষি অফিসের প্রণোদনা থেকে দশটি ইউনিয়নে মশুর ডাল চাষাবাদ হয়েছে প্রায় একশত দশ হেক্টর জমিতে। ডাল উৎপাদনে চাষীদের মাঝে চাষাবাদে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ডালবীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডাল ফসল উৎপাদনে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২৫ জন কৃষক-কৃষানীর সমন্বয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল (পিএফএস) পরিচালনা করা হয়। দশটি সেশন শেষে প্রত্যেক চাষীকে একটি করে সনদপত্র ও সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কৃষক হাসানুজ্জামান, সুলতান মিয়া, ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণ, বিনা মূল্যে সার বীজ, বীজ শোধনকারী ছত্রাক নাশক ঔষুধ, আন্তপরিচর্যার টাকা, বীজ সংরক্ষণ পাত্র, সঠিক সময়ে আমাদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। যে কারণে উৎপাদনও বেশ ভাল হয়েছে। ভাল ফলন পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। শিলখুড়ি ইউনিয়নের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন,জাবেদ আলী,বলেন, কৃষি অফিস থেকে আমাদের বিনা মূল্যে বীজ সংরক্ষণের জন্য উন্নত মানের ড্রাম দিয়েছে। সেটাতে পর্যাপ্ত বীজ রেখেছি, আশা আছে আগামীতে আরো বেশি করে বুনবো। এছাড়াও একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে ডাল চাষও লাভজনক একটা আবাদ। অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি কৃষক এখন ডাল চাষের দিকেও ঝুকছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, পার্টনার প্রকল্প ও প্রণোদনার ডাল বীজ সার সঠিক সময়ে কৃষকদের কাছে পৌছে দেয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছিল। অধিক ফলন পেতে নানা ভাবে চাষীকে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। ফলে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। ডাল উৎপাদনে কৃষকদের সন্তুষ্টি দেখে আমিও খুশি হয়েছি।