লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনি এক্সপ্রেস ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন বুড়িমারী থেকে ঢাকা সরাসরি চলাচলের দাবিতে লালমনিরহাটে রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ চলছে। সোমবার অষ্টম দিনের মতো রেলপথ অবরোধ ও দ্বিতীয় দিনের মত সড়ক পথ অবরোধ চলছে। এতে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে হাজার হাজার যানবাহন যেমন আটকা পড়েছে অন্যদিকে বুড়িমারী স্থল বন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তাদের এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

জানা গেছে লালমনি এক্সপ্রেস ও বুড়িমার এক্সপ্রেস নামক ট্রেন ২টি বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকা চলাচলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে লালমনিহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার মানুষজন। পরে রেল বিভাগ চলতি বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকা সরাসরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে ২৬ শে মার্চ ও ১৫ এপ্রিল ট্রেন চলাচলের তারিখ ঘোষণা করলেও ট্রেন চালু হয়নি। ফলে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেন বিভিন্ন সংগঠন। গত ২১ এপ্রিল থেকে পাটগ্রাম সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেলপথ অবরোধ চলছে। গত ২৭ এপ্রিল থেকে বুড়িমার টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে সড়ক পথ অবরোধ চলছে। সোমবার থেকে পাটগ্রাম সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারেও অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক পথ অবরোধ চলছে। পুরো কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

আট দিন ধরে এই অবরোধ কর্মসূচির কারণে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়েছে। এতে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বুড়িমারী স্থল বন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। যাত্রীদের জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় ফারুক হোসেন নিশাত জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত রেল বিভাগ থেকে ট্রেন চালুর সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ইঞ্জিন সংকটের কারণে ট্রেন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।