৩ আষাঢ়, ১৪৩২ - ১৭ জুন, ২০২৫ - 17 June, 2025

ভাঙা ঘরে অসুস্থ্য স্বামী-স্ত্রী ও ছাগলের বসবাস! ৪ সন্তান থাকলেও কেউ রাখেনা খোঁজ

2 weeks ago
56


তাহাম্মেল হোসেন সবুজ:

প্রায় ২০ বছর আগে। গাইবান্দা জেলার ফুলছড়ি এলাকা হতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে পথে বসেছিলেন গোলাম মোস্তফা ও শেফালী বেগম দম্পত্তি। তখন তাদের ঘরে ৪ সন্তান। খাবার নেই, টাকা নেই। চারিদিকে ঘোড় অন্ধকার। একটু স্বাচ্চন্দের আশায় তারা চলে আসেন রংপুরে। আজ এখানে কাল সেখানে করতে করতে স্থায়ী নিবাস গড়েন বন বিভাগের জায়গায়। সেখানেই আছেন তারা। এরমধ্যে পেরিয়ে গেছে অনেক সময় কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি গোলাম মোস্তফা ও শেফালী বেগমের।

বর্তমানে জরাজির্ন একটি খুপরি ঘরে বসবাস করেন তারা। সেই ঘরেই রাখেন কয়েকটি ছাগল। জীবিকার তাগিদে অন্যের জমিতে কাজ করেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে গোলাম মোস্তফা অসুস্থ্য। স্ত্রী শেফালী বেগমের সামান্য রোজগারে চলছে তাঁদের সংসার। ঠিকমত খাবার জোটেনা, নেই চিকিৎসার খরচ। এক কঠিন বাস্তবতায় নিদারুন কষ্টে কাটছে তাদের শেষ বয়সের দিনগুলো।

মিঠাপুকুরের শাল্টিগোপালপুর রাবার বাগান এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠোনে শুয়ে রয়েছেন অসুস্থ্য গোলাম মোস্তফা। তাঁর স্ত্রী শেফালী বেগম বাড়িতে নেই। বাড়ির পূর্বদিকে তাদের খুপরি ঘরটি। জরাজির্ণ, করুণ অবস্থা। পলিথিন, বাঁশ, চাটাই ও কাপড় দিয়ে ঘেরা। ভিতরে একটি চৌকি, পাশেই ছাগল রাখার জায়গা।

রোগাক্রান্ত গোলাম মোস্তফা বলেন, শিশুকাল হতে কষ্ট, মৃত্যুর আগেও শেষ হচ্ছে না। খাবার নেই, চিকিৎসা নেই। শুধুই অভাব।

তাঁর স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, ছেলেমেয়েরা দেখেনা। আমরা ঠিকমত কাজ করতে পারিনা। খুব কষ্টে আছি।

প্রতিবেশি নাসিমুল ইসলাম বলেন, এই স্বামী-স্ত্রী দির্ঘদিন ধরে অভাবী। স্বামী প্রায় ৫ বছর ধরে অসুস্থ্য। ঠিকমত চিকিৎসা জোটেনা, খাবার জোটেনা। থাকার ঘর নেই।

গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন-অর রশীদ বলেন, তারা অভাবী মানুষ। তাদের বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, সরকারী ভাবে তাদের ভাতা দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও তাদের বিষয়ে সহায়তা মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth