হতাশ খামারিরা তারাগঞ্জ পশুরহাটে সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা কম

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
পবিত্র ইদুল আজহাকে সামনে রেখে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা সদরের পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। এই পশুর হাটটি সপ্তাহে দুইদিন সোমবার ও শুক্রবার বসে। গতকাল সোমবার (৩০ মে) হাটে প্রচুর কোরবানির পশু দেখা গেছে। তবে ইদ ঘনিয়ে এলেও হাটে হাটে ক্রেতা তাঁদের অভিযোগ, এবার পশুর দাম তুলনামুলকভাবে বেশি। হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা বেশি দেখা গেছে। আজ সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সকালে উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলা গুলো থেকে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, নছিমন-ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহনে গরু-ছাগল নিয়ে হাটে আসছেন বিক্রেতারা। বেলা ১২টার মধ্যে কয়েক হাজার গরু-ছাগল দিয়ে হাট ভরে গেছে। কিন্তু এসব পশুর কেনাবেচা কম হচ্ছে। যেটুকু পশু কেনাবেচা হচ্ছে এর মধ্যে ক্রেতাদের নজর ছোট গরুর দিকেই। উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামের জাহিদুল নামের এক পশু ব্যবসায়ী বলেন, তিনিসহ তার ৪জন হাটে এসছেন কোরবানির পশু বিক্রি করার জন্য ১৩টি । কিন্তু তার মধ্যে মাত্র দুইটি পশু বিক্রি করতে পেরেছেন। একটি বিক্রি করেছেন ৮৫ হাজার ও অপরটি এক লাখ ছয় হাজার। বাকি ১১টি বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেননি। তিনি জানান, হাটে দুর দুরান্ত থেকে ক্রেতা আসলে তবেই কোরবানির পশু বিক্রির হিরিক পড়বে। উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বকসিপাড়া গ্রামের খামারি একরামুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিক্রির জন্য দুটি গরু এনেছিলেন কিন্তুক একটি বিক্রি করেছেন। দাম কম হওয়ায় তিনি ও অন্য খামারিরা তাদের গরু বিক্রি না করেই বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। পরিবারের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় একটি গরু ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু এক মাস আগে এই গরুর দাম ছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। এ বছর গরু পালন করে আশানুরুপ লাভ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।