তারাগঞ্জে ইরানি দম্পতিকে মারধর ও ছিনতাই মামলার পর জেলহাজতে ৪

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
তারাগঞ্জে ইরানি দম্পতিকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত ২জুন একটি মামলা হয়েছে। তারাগঞ্জ থানার এস আই হাসিনুর রহমান বাদী হয়ে মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অগতনামা রেখে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আটক ৪জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার (৩ জুন) কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর জোতপাড়া গ্রামের রশিদুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৫), মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৪৫), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রশিদুল ইসলাম (৪২) ও মেরাজুল ইসলাম (৩৮)। ওইদিন ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন সেনাবাহিনীকে খবর দিলে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থানে এসে ইরানি দম্পতিকে উদ্ধার করেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত ৪জনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, ইরানি দম্পতি সেলিম রেজা (৬৪) ও ইয়াসিমিন ইয়াজডানজু (৫৬) গত ১৯ মে বাংলাদেশে ভ্রমন করার জন্য ঢাকায় আসেন। পরে ঢাকা থেকে গত রবিবার একটি প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়ে সেলিম রেজা নিজেই চালিয়ে করে রংপুরে আসেন। সেখানে একটি আবাসিক হোটেল ভাড়া নিয়ে রাত্রি যাপন করেন।
গত সোমবার গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে রংপুর শহর থেকে কারটি নিয়ে আবারো সেলিম রেজা নিজেই চালিয়ে স্ত্রী ইয়াসিমিন ইয়াজডাজুকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। ওইদিন সকাল সাডে ১১টার সময় পথ ভুলে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের উপজেলার বেলতলি মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে উপজেলার ঘনিরামপুর জোতপাড়া এলাকায় রশিদুল ইসলামের বাড়ির কাছে এসে কারটি থামান। এসময় রশিদুল ও তার স্ত্রী মনোয়ারাকে ইসরায় কাছে ডাকেন। পরে রশিদুল ইরানি দম্পতির কারের কাছে গেলে সেলিম রেজা আকার ইঙ্গিতে পানির পিপাসা মেটানোর জন্য বলেন। এসময় সেলিম রেজা ও তার স্ত্রী ইরানি ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলায় রশিদুল ও মেরাজুল ইরানি দম্পতিকে প্রতারক ভেবে চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ও পথচারী জড়ো করে মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ কেড়ে নেন। ব্যাগে ১০০ ডলারের ৫টি নোট, পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন ও একটি হাত রক্ষিত ছিলো। এসময় সেখানকার পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে মোবাইল ফোনে জানালে তারাগঞ্জ ক্যাম্পের সেনাবাহিনী, তারাগঞ্জ থানার পুলিশ ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার রুবেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইরানি দম্পতিকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়ে ৪জনকে আটক করে সেনাবাহিনী পুলিশে সোর্পদ করেন। তারাগঞ্জ থানার ওসি এ এ ফারুক বলেন, ইরানি নাগরিক দম্পতিকে মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার ৪জনকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বেশকিছু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মোবাইল ফোন ও ১০০ ডলারের ৪টি ণোট পাওয়া যায়নি। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।