লাল বাঁধাকপি বদলে দিয়েছে বেলালের ভাগ্য
ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে চাষ হয়েছে লাল বাঁধাকপি ‘লালিমা’। এই লাল বাঁধাকপি দেখতে দূরদুরান্ত থেকে লোকজন যাচ্ছেন কৃষক বেলাল হোসেনের বাড়িতে। উচ্চ ফলন আর ভালো দামের এই বাঁধাকপি ইতোমধ্যে বদলে দিয়েছে বেলালের ভাগ্য। তার এ সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষকরা আগামীতে লাল রঙের বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
গাইবান্ধা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ভাষারপাড়া গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন। প্রায় দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন লাল বাঁধাকপি ‘লালিমা’র। অল্প সময়ে সারি সারি লাল বাঁধাকপিতে তার জমি ভরে গেছে। এরইমধ্যে দুই লাখ টাকার ‘লালিমা’ বিক্রি করেছেন তিনি।
চাষি বেলাল হোসেন জানান, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হিসাবে পাইকারি বিক্রি করছেন তিনি। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই জমি থেকে তুলে লালিমা বিক্রি করে একহাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা আয় হচ্ছে তার। গত বছর ২০ শতাংশ জমিতে লালিমার চাষ করে বেশ লাভ হওয়ায় এবার ৪০ শতাংশ জমিতে এই বাঁধাকপির আবাদ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, লালিমার সাথে দুই বিঘা জমিতে চাষ করেছি আরেক বিদেশি সবজি ব্রকলির। ফুলকপির মতো কিছুটা দেখতে গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজিতে ঔষুধিগুণ রয়েছে। খেতে সুস্বাদু, দামও বেশ ভালো। তার সাফল্য স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সুন্দর ও আর্কষণীয় নতুন দুই জাতের এই সবজি দেখতে বিভিন্ন এলাকা দেখে লোকজন আসছেন। অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তারা আগামীতে লাল রঙের বাঁধাকপি ও ব্রকলির চাষ করবেন। আমি তাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করব।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. বেলাল হোসেন জানান, লাল বাঁধাকপির মধ্যে ভিটামিন এ, সি, কে, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামসহ প্রচুর আয়রন রয়েছে। অন্যদিকে ব্রকলিতে বিভিন্ন উচ্চ ভিটামিন এ ও সি’সহ ক্যানসার, হৃদরোগ প্রতিরোধক ভিটামিন রয়েছে। এসব সবজি চাষে কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ধরনের উচ্চ মূল্যবান সবজি কেউ চাষ করতে আগ্রহী হলে তাকেও সহযোগিতা করা হবে।
চলতি বছর ফুলছড়িতে ৭০ শতাংশ জমিতে লাল বাঁধাকপি ও ১০৫ শতাংশ জমিতে ব্রকলির চাষ হয়েছে বলেও জানান এই কৃষিবিদ।