১৬ আশ্বিন, ১৪৩২ - ০১ অক্টোবর, ২০২৫ - 01 October, 2025

উলিপুরে দোকান চুরির ঘটনায় থানায় জিডি, দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত ২

3 hours ago
37


উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে দোকান চুরির ঘটনায়  থানায় জিডি করাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুইজন আহত। আহতের মধ্যে একজনকে গুরত্বর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, এস. এম আনিছুর রহমান (৪৮) ও আলমগীর রহমান (৩৬) গুনাইগাছ ইউনিয়নের জুম্মাহাট এলাকার সবেদ আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগি ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, গুনাইগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালুডাঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে হুদা গুনাইগাই ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এ আর পাবলিক স্কুল সংলগ্ন আব্দুল মান্নানের কনফেকশনারী দোকান চুরি করে ধরা পড়লে মারডাং করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ক্ষমা করে  দেন। পরে এই ঘটনায় আব্দুল মান্নান উলিপুর থানায় একটি জিডি করেন। এই  

ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা আব্দুল মান্নানের শালক ও সমন্ধীদের (স্ত্রীর বড় ও ছোট ভাই) উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আব্দুল মান্নানের সমন্ধী আশরাফুল আলম বাদী হয়ে উলিপুর থানায় মামলা করেন।

 

অভিযুক্তরা হলেন, মেহেদী হাসান হুদা (২৪), সোহেল রানা (২৮), স্বাধীন মিয়া (২৯), কুরাইশি (২০), লুৎফর রহমান (৫৫), জান্নাতি বেগম (২৬), সাজেদা বেগম (৪৮), লিলি বেগম (২৯), লিপা বেগম ও সোমা বেগম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আশরাফুল আলমের বড় ভাই এস. এম আনিছুর রহমান নিজ বাড়ি থেকে রাত ১০টায় গাবেরতল বাজারে গেলে পূর্ব বিরোধের জেরে আসামীগণ তাকে হত্যার উদ্দেশে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি চোট মেরে কাধের নিচে জখম করে সেখানে চারটি সেলাই ও পিঠে মেরুদন্ডের মাঝে দুইটি সেলাই। খবর পেয়ে বড় ভাইকে রক্ষা করার জন্য আলমগীর রহমান,  আজাদুন্নবী ও আশরাফুল আলম এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তদের ছুরির চোটে আলমগীর রহমানের ডান চোখের ভ্রুতে জখম হয়। জখম স্থানে ১৪টি সেলাই ও উপরের ঠোটে দুইটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

আশরাফুল আলম অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তার শার্টের পকেট থেকে ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দুর্বৃত্তরা তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় ও স্বজনরা গুত্বর আহত অবস্থায় এস. এম আনিছুর রহমান ও আলমগীর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আলমগীর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো  হয়।

ভুক্তভোগী পরিবার জানান, আমাদের পরিবার এই ঘটনার শিকার হয়ে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই দুর্বৃত্তদের বিচার না হলে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে।

এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth