নাগেশ্বরীতে নদের ভাঙ্গনে বসতভিটা হারাচ্ছে মানুষ
 
            
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীতে নদের ভাঙ্গনে বসতভিটা হারাচ্ছে মানুষ। ঘরবাড়ী হারিয়ে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে অন্যত্র। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটিরচরে দেখা গেছে এ চিত্র। গত ১ মাসে এখানে বসতভিটা হারিয়েছে ২৬ টি পরিবার।
প্রমত্তা দুধকুমার নদ। এর তীব্র ভাঙ্গন নেশায় প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে মানচিত্র। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন আগ্রাসী হয়ে উঠছে। প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে গতিপথ। শিকার বানিয়ে গিলে খাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বামনডাঙ্গার কুটিরচর তেমন একটি এলাকা। গত এক বছর আগেও এখানে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়া নামে দুইটি জামাত ছিল। এখন উত্তরপাড়া নেই। দক্ষিণ পাড়াও নিশ্চিহ্নের পথে নদের করাল গ্রাসে। গত এক মাসে ভেঙ্গেছে দক্ষিণ পাড়ার রজব আলী, বাদশাহ মিয়া, সামাদ আলী, আমাজাদ আলী, আবুল কাশেম, আবুল হোসেন, সফিকুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক, নুর মোহাম্মদ, মনির হোসেন, ধনদ্দি, হুসোন, মোক্তার আলী, সফিক মিয়া, মাইদুলসহ ২৬ টি পরিবারের ঘরবাড়ী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গা বসতভিটায় ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসে সামাদ আলী। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন কুমিল্লায় মজুরী বিক্রি করে অনেক কষ্টে ধারদেনা করে করেছিলেন ঘর-বাড়ী। মাথা গোঁজার ঠাইটুকু আজ আর নেই। বউ-বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাবেন, কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
শুধু তাই নয় ইতোমধ্যে ভেঙ্গে নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে সামাদ আলীর ৩ বিঘা, বাদশাহ মিযার দেড় বিঘা, শহিদুল ইসলামের ২ বিঘা, ভজুর ১ বিঘা, ফজল হাজীর ৩ বিঘা, জাহিদুলের ১ বিঘা, নুরনবী মিয়ার ৩ বিঘা জমির মালভোগ কলার বাগান।
ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া জানান, চোখের সামনে ভেঙ্গে নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ১৪ বিঘা জমির ডাল ক্ষেত। গত এক সপ্তাহে এভাবেই দুধকুমার গিলে খেয়েছে এ এলাকার ৭০ বিঘা জমির ডাল ক্ষেত। ধানক্ষেত গুলোর একই অবস্থা। হুমকিতে মসজিদ, একটি দাখিল মাদ্রাসা, মুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। দ্রুত ব্যাবস্থা না নিলে এগুলোর সাথে হয়ত পুরো দক্ষিণপাড়া বিলিন হয়ে যাবে নদের গর্ভে। ভাঙ্গনরোধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, বামনডাঙ্গার কুটিরচরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী ভাঙ্গছে। বিষয়টি নিয়ে সংম্লিস্ট দপ্তরে কথা বলব। যাতে তারা ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করে।
 
           
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
                