চন্ডিমারী গ্রামে পুরুষদের আতঙ্ক আমিনা বেগম
 
            
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চন্ডিমারী গ্রামের পুরুষদের কাছে একটি আতঙ্কিত নাম আমিনা বেগম (৩৮)। এ নাম শুনলেই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ওই গ্রামের তরুণ, যুবক এমনকি বৃদ্ধরা পর্যন্ত।
৪ ছেলের জননী বিধবা আমিনা বেগম নিজের রূপ-যৌবন দিয়ে আকৃষ্ট করে এলাকার পুরুষদের। পরে কৌশলে হাতিয়ে নেয় টাকা-পয়সা। যেখানে এ কৌশল ব্যর্থ হয় সেখানে নেয় ভিন্ন কৌশল। কোন পুরুষকে বাড়িতে বা বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে জাপটে ধরে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে তার ধর্ম ভাই সম্পর্কের একাধিক বহিরাগত যুবক। ফলে আটক পুরুষ মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা দিয়ে রেহাই পান। জরিমানা থেকে বাঁচতে চাইলে তাকে হতে হয় ধর্ষণ মামলার আসামী।
এমনিভাবে আমিনা বেগম তার প্রতিবেশী রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের জয়রামওঝা গ্রামের আতিয়ার রহমানের বিরূদ্ধেও স্থানীয় আদিতমারি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন। ফলে গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আদিতমারি থানা পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করেন বলে প্রত্যদর্শী চন্ডীমারী ও জয়রামওঝা এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী মোজা মিয়া (৫০), আব্দুল জলিল (৫২), সুরুজ মিয়া (৩২), জিয়ারুল (৪৫), কালাম (৪০)সহ অনেকে জানান, আমিনা বেগম ইতোপূর্বে আরো ৩ যুবকের বিরূদ্ধে থানায় মামলা করেছিল।
এলাকাবাসী আরো জানান, এলাকার পুরুষরা আমিনার ভয়ে সন্ধ্যার পর ওই রাস্তা এরিয়ে বিকল্প রাস্তায় চলাফেরা করে। আমিনা এলাকার পুরুষদের আতঙ্ক।
আমিনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গাচড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার চন্ডিমারী পশ্চিম মহিষখোচা গ্রামে তার দ্বিতীয় স্বামী মৃত আব্দুল্লার বাড়ীতে নিজ পিতা জহির মিয়া ও ছোট ছেলে (১১) সহ বসবাস করছে।
স্থানীয়রা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমিনা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
 
           
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
                