১৬ কার্তিক, ১৪৩২ - ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ - 31 October, 2025

গরু দিয়েই চলতো মুড়ি দোকানির সংসার সেই গরু চুরি

7 hours ago
67


তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:

বাজারের একপাশে বসে মুড়ি মুরকির দোকানের রোজগার দিয়ে অনেক কষ্টে একটি গরু কিনে স্বপ্ন দেখছিলেন লালু মিয়া। ভেবেছিলেন ছোট্ট সংসারটা একটি গরু থেকেই বছরের পর পছর গরুতে তার গোয়াল ঘর ভরে উঠবে। গরু দিয়ে দুই ছেলে মেয়ের লেখাপড়া খরচ, সংসারটাও ভাল চলবে। মুড়ি দোকানি লাল মিয়ার স্বপ্ন বাস্তবে পরিনীত হয়েছিলো, একটি গরু থেকে বাছুরসহ তিনটি গরু হয়েছিলো। নিজের পোষা গরুর দুধ ছেলে-মেয়ে খাওয়ার পরেও  এক থেকে দেড় লিটার দুধ বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চলাতো। কিন্তু এক রাতে লাল মিয়া ও তার পরিবারের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে গরু চোরেরা। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর)  গভীর রাতে চোরেরা তার গোয়াল ঘরের বেড়া কেটে বাছুরসহ তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে গিয়ে লাল মিয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। তিনটি গরু হাড়িয়ে তিনি ও তার স্ত্রী সন্তানেররা এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। মুড়ি দোকানি লাল মিয়া ওরফে লালোর বাড়ি তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের প্রামানিকপাড়া গ্রামে। পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রামানিকপাড়া গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া লালো পেশায় একজন মুড়ি বিক্রেতা। স্থানীয় ইকরচালি বাজারে সন্ধ্যার পর শুধু মাত্র মুড়ি-মুরকি বিক্রি করতেন। দোকান থেকে যা আয় করতেন সেই রোজগার দিয়ে সংসার, ছেলে মেয়ের পড়াশুনা চলতো না। অনেক কষ্টে একটি গরু কিনেছিলেন। সেই গরু থেকে দুধ বিক্রি করে ভালোই চলছিল তার সংসার। বৃহস্পতিবার বাজার থেকে বাড়িতে গিয়ে গরু গুলোকে খাবার দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। শুক্রবার সকালে উঠে দেখেন তার গোয়াল ঘরের বেড়া কেটে তার তিনটি গরু চোরেররা নিয়ে গেছে। লাল মিয়া বলেন, এখন কিভাবে সংসার চালবে বুঝতেছিনা। লাল মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, এখন ছাওয়া ছোটক কি করি মানুষ করিম। আল্লা এখন হামরা কেমন করি চলমো। তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক হোসেন বলেন, গরু চুরির ঘটনাটি দুপুরের দিকে শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি। গরুর মালিকেরা গরু পুষলেও তারা সচেতন না। অরক্ষিত ঘরে তারা গরু পোষেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth