উৎসবমুখর পরিবেশে গঙ্গাচড়ায় কিশোর কণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
 
            
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোর কণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা। সকালে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ছোট-বড় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় সরগরম হয়ে ওঠে কেন্দ্রগুলো। সকাল ১০টার আগেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষক ও স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রাঙ্গণগুলো যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশপত্র, চোখেমুখে প্রত্যাশা ও উত্তেজনা। পুরো এলাকা জুড়ে ছিল এক ভিন্ন রকম আবহ।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার দুটি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়। চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে গঙ্গাচড়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৩১ জন এবং বড়বিল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
পরীক্ষার আগে কিশোর কণ্ঠ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে প্রচারণা চালান। তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন এবং পরীক্ষার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
অভিভাবক মুজিবুল হক বলেন, “মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য কিশোর কণ্ঠ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও মনোযোগ বাড়ায়। ভবিষ্যতেও যেন এ ধারা অব্যাহত থাকে।”
জ্ঞানগৃহ আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশরাক মাহি বলেন, “পরীক্ষায় অংশ নিতে খুব ভালো লাগছে। প্রতিবছর এমন আয়োজন হলে আরও উৎসাহ পাব।”
রংপুর জেলা কিশোর কণ্ঠ ফাউন্ডেশনের অর্থ সম্পাদক হানিফ রহমান স্বাধীন জানান, “শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে আমরা স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার মনোভাব ও আত্মবিশ্বাস বাড়বে বলে মনে করি। আগের বছরগুলোতে স্বল্প পরিসরে আয়োজন করা হলেও এ বছর থেকে বৃহৎ পরিসরে শুরু হয়েছে।”
পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন রংপুর–১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী–মনোনীত এমপি প্রার্থী মো. রায়হান সিরাজী, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নায়েবুজ্জামান, নায়েবে আমির অধ্যাপক তাজ উদ্দিন, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা মনিছুর রহমান।
জামায়াতের এমপি প্রার্থী মো. রায়হান সিরাজী বলেন, “শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উৎসাহ দেখে খুব ভালো লাগছে। কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রতিবছর এমন আয়োজন অব্যাহত থাকুক। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা ও সৃজনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাক।
 
           
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
                