তারাগঞ্জে আশ্রয়নের তিনটি ঘরের টিন, ইট খুলে বিক্রি
 
            
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ফরিদাবাদ আশ্রয়ন প্রকল্পের তিনটি ঘরের ইট, লোহার এ্যাঙ্গেলসহ টিন বিক্রির করা অভিযোগ পাওয়াগেছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মজু মিয়া ও তার মা মজিতনের নামে ফরিদাবাদ আশ্রয়নে দুইটি ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়। মা ও ছেলের নামে ঘর গুলো বরাদ্ধ নিয়েও তারা সেখানে বসবাস না করে গ্রামের বাড়িতে বসবস করছিলেন। ফ্যাসিস সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর রাতের আধাঁরে তার ও তার মায়ের ঘরের ইট, টিন এ্যাঙ্গেল ভ্যানে করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। শুধু মজু মিয়া নয় একই আশ্রয়ন কেন্দ্রের ঘরসহ সব কিছুই বিক্রি করে দিয়েছেন একই গ্রামের বিট্রিশ আলী নামের একজন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদাবাদ আশ্রয়ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মজিববর্ষে পর্যায় ক্রমে আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৩০টি দুই রুম বিশিষ্ট পাকাঘর, রান্নাঘর, লেট্রিন দেয়া হয়। ১৩০টি হতদরিদ্র পরিবার সেখানে বসবাস করার কথা থাকলেও বর্তমানে ৪৭টি পরিবারকে বরাদ্ধের ঘরে বসবাস করতে দেখাগেছে। বাকি ৮৩টি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘরের ইট, টিন খুলে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি ৮০টি ঘরের নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। আশ্রয়নের বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ২৫ থেকে ৩০টি ঘর বিক্রি করা হয়েছে আর বেশ কয়েকটি পরিবার ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। অভিযোগ পেয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘরবরাদ্দ নিয়ে সাহেবা বেগম নামের একজন স্থানীয় আলম মিয়ার নিকট মাসে এক হাজার টাকা নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। আলম মিয়ার স্ত্রী রেহেনা জানান, বাড়িতে শ্বাশুরীর সাথে ঝগড়ার কারনে শ্বাশুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে ভাড়া নিয়া আছি। একই অবস্থা দেখো গেছে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের উজিয়াল আশ্রয়ন প্রকল্পে। উজিয়ালে ৩৫টি টিন সেড ঘর বরাদ্দ দেয়া হলেও সেখানে ১৭টি পরিবার বসবাস করছেন বাকি গুলোতে তালা মেরে রাখা হয়েছে। ওই প্রকল্পে ২২টি পাকাঘর বরাদ্দ থ্কালেও ৭টি পরিবারকে বসবাস করছে বাকি গুলোতে তালা মেরে রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল রানার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, শুনেছি ফরিদাবাদ আশ্রয়ন কেন্দ্রে তিনটি ঘরের সবকিছুই খুলে বিক্রি করা হয়েছে। এনিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওরা নাকি মাদকাসক্ত ছিল। অতি শিঘ্রই যারা ঘর বরাদ্দ নিয়ে ঘরে থাকেন না তাদের তালিকা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
 
           
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
                