১৬ কার্তিক, ১৪৩২ - ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ - 31 October, 2025

সুন্দরগঞ্জের মওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্টে তিস্তার তীরে পড়ন্ত বিকালে আনন্দে মুখর জনসমাগম

3 days ago
21


হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা):

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের বাইরে আলীবাবা থিম পার্ক এবং সরোবর পার্ক গড়ে উঠলেও তেমন সারা ফেলতে পারেনি। কিন্তু মওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্টে কোনো পার্ক গড়ে না উঠলেও প্রতিদিন হাজারও দর্শনাথীর ভির চোখে পড়ার মতো।

বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার মত সম্ভাবনাময় জোন সৃষ্টি হয়েছে মওলানা ভাসানী সেতু পয়েন্ট। কিছুটা রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের মতই। কথাগুলো বলছিলেন সেতু পয়েন্টে ঘুরতে আসা দর্শণার্থী স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান। তার ভাষ্য সেতু খুলে দেয়ার আগ থেকে সেতু পয়েন্টে ছিল উৎসুক জনতার ভির। সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন যে হারে দর্শনার্থী আসছে, বলে বুঝানো যাবে না। সেই মানের কোন দোকানপাট নেই এমনকি বসার জায়গাও নাই। তারপরও প্রতিদিন পরিজন নিয়ে সেতু পয়েন্টে তিস্তা নদীর মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে আসছেন আবালবৃদ্ধবনিতা। 

স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসএএস এর নিবার্হী পরিচালক এ. বি. এম নুরুল আক্তার মজনু, উপজেলা ছাড়াও গাইবান্ধা, রংপুর  ও কুড়িগ্রাম  জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিকাল ৪ টা হতে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত হাজারও দর্শক এখানে আসে। অনেকে ছোট নৌকা নিয়ে নদীর মধ্যে ঘুরে রেড়ায়। আবার অনেকে নদীর ধার দিয়ে পায়চারি করে। দর্শণার্থীদের মধ্যে কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা অনেকটা বেশি। তবে শিশুরাও মা বাবার সাথে আসছে প্রতিদিন। এখানে তেমন কোন দোকানপাট নেই। ভাসমানসহ মাঝারি মানের কয়েকটি দোকান রয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র বিস্কুট, চেনাচুর, কলা, রুটি, পটেটো পাওয়া যায়।         

ছোট নৌকার মাঝি ফুল মিয়া বলেন, এখন খুব বেশি পানি নাই নদীতে। তারপরও নৌকা নিয়ে ঘোড়া যায়। সারাদিন কম লোকজন থাকলেও পড়ন্ত বিকালে হাজারও লোকজন ঘুরতে আসে। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টাকা রোজগার হয়।            

মওলানা ভাসানী সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ.ব.ম শরিওতুল্লাহ মাষ্টার বলেন, ২০০০ সাল থেকে তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলন শুরু করা হয়। ২০১২ সালে এসে তিস্তা সেতু নির্মাণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। এরপর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম প্রামানিকের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৪ সালে সেতু নির্মাণ কাজের সুচনা হয়। ২০২৫ সালের ২০ আগষ্ট সেতুটি খুলে দেয়া হয়। এটি শুধু সেতু নয় এটি একটি বিনোদন কেন্দ্র এবং ব্যবসায়ীক জোন।            

উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আসলেই সেতু পয়েন্টেটি এখন চমৎকার বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। সেতুর দুইধারে ব্লকদিয়ে নদীরক্ষা সড়ক নির্মাণ করায় এটি দেখতে অনেকটা চমৎকার। কিছু দিনের মধ্যে সেতুর দুই পাশেই ব্যবসায়ীক জোন এবং বিনোদনের কেন্দ্র গড়ে উঠবে  এতে  সন্দেহ নাই। সম্ভাবনাময় এই পয়েন্টে এখন শিল্পপতির সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন। এখানকার মানুষজনের জন্য এটি একটি অর্থনৈতিক জোনে পরিনত হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth