ফুলছড়িতে সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় সভা
 
            
ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কমিউনিটিভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারী ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ) এর আওতায় সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের সিআরইএ প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জগৎবন্ধু মন্ডল। এসকেএস ফাউন্ডেশনের সিআরইএ প্রকল্পের সমন্বয়কারী লাভলী খাতুনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিন্টু মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন মিয়া, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইউনুছ আলী, ফুলছড়ি থানার এসআই আয়নাল হক, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাকিউল হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা সুলতানা বাহার এবং চরাঞ্চলের কমিউনিটি প্রতিনিধি আমিতন বেগম।
সভায় উপস্থিত সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা তাঁদের দপ্তরের সেবা কার্যক্রম সম্পর্কেও অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের জন্য সরকারি বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ সুবিধা বিষয়ে তথ্য দেন। প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা পশুপালন, টিকা কার্যক্রম ও সরকারি সহায়তার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা গ্রামীণ মাতৃস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার বিষয় তুলে ধরেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সম্পর্কে জানান। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের দিক তুলে ধরেন।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকারি এসব সেবার সঙ্গে কমিউনিটির নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়লে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। সিআরইএ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীরা সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন, যা টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
           
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
                