সাশ্রয়ের বদলে ভোগান্তি, টিসিবি পণ্য কিনতে চরবাসীর অতিরিক্ত ব্যয়
 
            
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পণ্য নির্ধারিত স্থানে বিতরণ না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। নির্ধারিত স্থানের বাইরে বিতরণ করায় পণ্য কিনতে এসে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যাতায়াত খরচও।
জানা গেছে, চিলমারী ইউনিয়নে মোট ৮৬৭ জন টিসিবি কার্ডধারী রয়েছেন। প্রতিমাসে তাঁরা স্বল্পমূল্যে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কেনার সুযোগ পান। কার্ডধারীদের সুবিধার্থে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি কলেজ মোড়ে পণ্য বিতরণের দায়িত্ব পায় ‘সাওম ট্রেডার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
তবে অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ইউনিয়ন পরিষদে না গিয়ে শুধুমাত্র উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে পণ্য বিতরণ করছে। এতে চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নৌকা ও অটোরিকশা ভাড়া করে সেখানে যেতে হচ্ছে, ফলে যাতায়াত ব্যয়সহ সারাদিনের সময় নষ্ট হচ্ছে তাঁদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন সুবিধাভোগী টিসিবির পণ্য কিনে যতটা সাশ্রয় পান, তার চেয়ে বেশি ব্যয় হয়ে যাচ্ছে যাতায়াতে। খেয়ানৌকা ও অটোরিকশা ভাড়া, সঙ্গে চা-নাস্তা সব মিলিয়ে এটি এখন তাঁদের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, টিসিবির এই কার্যক্রম থেকে চরের মানুষ আদৌ কতটা উপকৃত হচ্ছেন?
চিলমারী ইউনিয়নের মাসুদ রানা নামে এক বাসিন্দা জানান, ‘আগে আমাদের ইউনিয়নের টিসিবি পণ্য কড়াই বরিশাল ঘাটে বিতরণ করা হতো, পরে জোরগাছ বাজারে। এখন থানাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড়ে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে চরাঞ্চলের মানুষের কোনো সুবিধা থাকছে না, বরং আরও কষ্ট বেড়েছে।’
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়নের পণ্য ইউনিয়নের ভেতরেই বিতরণ করা উচিত। কিন্তু এখন চরের মানুষ নৌকা ভাড়া করে থানাহাটে গিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে ভোগান্তি ও খরচ দুটোই বাড়ছে।’
এ বিষয়ে সাওম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. লিখন বলেন,‘যাতায়াত সমস্যার কারণে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ মোড়ে বিতরণ করা হচ্ছিল। বৃহষ্পতিবার (৩০ অক্টোবর) থেকে আবার চরে গিয়ে বিতরণ করা হবে।’
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক জানান,‘সুবিধাভোগীদের ভোগান্তি দূর করতে ইউপি চেয়ারম্যান ও ডিলারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ মাস থেকেই তারা আবারো চরে গিয়ে টিসিবি’র পণ্য বিতরণ করবেন।’
 
           
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
  
                     
                