রংপুরে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’পালিত
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ২০২৫’ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রবিবার (১৪ই ডিসেম্বর) সকালে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলাম। রংপুর জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের লেখনি ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এজন্য বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা সুপরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড থেকে বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কেউই রেহাই পাননি। এটিকে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, পাকিস্তানি দোসররা এদেশকে পিছিয়ে দিতে এখনো সবধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপচেষ্টা প্রতিরোধে রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আমাদের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। তাঁদের আদর্শ ধারণ করে অসাম্প্রাদায়িক, গণতান্ত্রিক ও মুক্তচিন্তার বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রত্যেককে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ মজিদ আলী, রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হুসাইন প্রমুখ।
আলোচনাসভায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, জুলাই যোদ্ধা, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।