৬ পৌষ, ১৪৩২ - ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ - 21 December, 2025

নীলফামারীতে আদালত থেকে রায়ের পরও জমি নিয়ে বিরোধ, ৪’শ কলাগাছ ধ্বংস, থানায় অভিযোগ

3 hours ago
14


নীলফামারী প্রতিনিধি:

নীলফামারীতে আদালত থেকে জমির মালিকানা পেলেও জমি দখলের পায়তারা করছে প্রতিপক্ষ।

নিজস্ব জমিতে লাগানো প্রায় চার’শ কলাগাছ ধ্বংস করার অভিযোগ উঠে ওই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় নীলফামারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি সরকারপাড়া এলাকার শ্যামল চন্দ্র সরকার। তিনি দ্বীজেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একই এলাকার জেএল নং ২৬, সিএস খতিয়ান নং ২৬২, এসএ খতিয়ান ১৯৯, বিএস খতিয়ান নং ৬৫৫/১, এসএ দাগ নং ৬৬৫৩, ৬৬৫০, বিএস দাগ নং ৯০৪৬, ৯০৩৯-য়ে ৩২ শতক জমির মালিক লিপি রানী সরকার।

এই জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো প্রতিপক্ষ দুলাল চন্দ্র শীল গংদের সাথে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা হলে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত নীলফামারী থেকে লিপি রানী সরকারের পক্ষে রায় ও ডিক্রি প্রদান করা হয়। (মামলা নং- ৬৮/২০২১ইং)।

আদালত থেকে রায় পেলেও নিজস্ব জমিতে কলা গাছ রোপণ করা হয়। গত ১৯ডিসেম্বর বিকেলে প্রতিপক্ষ দুলাল চন্দ্র শীলসহ আরো কয়েকজন মিলে প্রায় ৪’শ কলা গাছ ধ্বংস করা হয়। যার মুল্য প্রায় দুই লাখ ৫০হাজার টাকা।

খবর পেয়ে লিপি রানীর ভাই শ্যামল চন্দ্র সরকার কলাক্ষেতে গেলে প্রতিপক্ষ স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীর উপস্থিতিতে এবং দুলাল চন্দ্র শীল, শান্ত শীল, সাগর শীল, নির্মল চন্দ্র সরকার, হিমাংশু চন্দ্র সরকার, সুধাংশু সরকারের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন অকথ্য গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও হত্যার  হুমকী দেয়া হয়।

শ্যামল চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে বলেন, মহামান্য আদালত থেকে রায় পেয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে ওই জমিতে চাষাবাদ শুরু করি কিন্তু প্রতিপক্ষরা আদালতের রায় উপেক্ষা করে তাদের জমি বলে বল প্রয়োগ করছে। যা বেআইনি।

শ্যামল বলেন, জমি নিয়ে আমরা চরম শংকায় রয়েছি। প্রতিপক্ষরা যেকোন সময় আমাদের উপর হামলা চালাতে পারে। মুঠোফোনে বিভিন্ন সময় আমাকে হত্যার হুমকী দেয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমি নীলফামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি।

জানতে চাইলে দুলাল চন্দ্র শীল অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার জমি দখল করেছি। কার্তিক চন্দ্রের জমির সাথে তাদের (লিপি রানী সরকার) জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্ধ চলছে। আদালতে আমার কোন মামলা নেই।

লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য গোলাম রব্বানী জানান, এখানে ব্যাপার রয়েছে। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না।

জানতে চাইলে নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, দুই পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth