আ.লীগ আখ্যা দিয়ে যুবককে আটক করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
সাখাওয়াত হোসেন, রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সেলিম রেজা (৩৬) নামের এক ব্যক্তিকে আ.লীগ আখ্যা দিয়ে আটক করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ইকবাল হোসেন সুজন বাদি হয়ে রৌমারী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে থানা চত্ত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বন্দবের ইউনিয়নের বাঞ্চার চর গ্রামের রমিজ উদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এদিকে বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে বাদি ও বিবাদী নিয়ে রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে থানায় সালিশি বৈঠক করেছিল পুলিশ। পরে বৈঠক শেষে থানা থেকে বের হওয়ার সময় বাদি রমিজ উদ্দিনের যোগসাজসে আওয়ামীলীগ আখ্যা দিয়ে বিবাদী পক্ষের সেলিম রেজা নামের মানিসক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগকারী ইকবাল হোসেন বলেন, আমার বড়ভাই সেলিম রেজা কোনও রাজনীতির দলের সাথে জড়িত না। সে সহজসরল এবং মানসিক ভারসাম্য সে মাঝে মধ্যে ভালো হলে সাংসারিক ও কৃষি কাজ করেন। পুলিশ শুধু মাত্র অন্যের প্ররোচনায় এবং জমিজমা বিরোধের জেরে তাকে আ.লীগ আখ্যা দিয়ে পুলিশ আটক করেন। ভাইয়ের মুক্তিসহ সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বন্দবের ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ময়েজ উদ্দিন বলেন, সেলিম রেজা খুব ভালো ছেলে। সে আওয়ামীলীগ কিংবা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। তাকে আ.লীগ আখ্যা দিয়ে আটক করা পুলিশের ঠিক হয়নি। আটকের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রৌমারী থানার ওসি মো. কাওসার আলী বলেন, সেলিম রেজা আ.লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং তাকে থানা চত্ত্বর থেকে পুলিশ আটক করে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কি বললো এবং পুলিশের বিরুদ্ধে কে কি অভিযোগ দিলো তা আমাদের দেখার বিষয় না। তবে আ.লীগের পদপদবীতে না থাকলেও সে ওই রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বির ব্যবহ্নত সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলে তা ব্যস্ত পাওয়া যায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পাঠালেও কোনও উত্তর দেননি তিনি।